প্রজ্ঞাপন না মেনে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচন

সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ বারদোনা ৮৯ নম্বর এসবি টংকাবতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন না মেনে অশিক্ষিত ও স্কুল ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক নন এমন একজনকে ২য় বারের মতো স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু রায়হান দোলনের কাছে সাতকানিয়ার বারদোনা গ্রামের এসবি টংকাবতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দীনকে বহিষ্কার চেয়ে একটি আবেদন করেন সাবেক কমিটির সহ সভাপতি বাকীবিল্লাহ শিবলী।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমি সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা গ্রমের এসবি টংকাবতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও প্রাক্তন ছাত্র। এ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘকাল ধরে সুনামের সঙ্গে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে এসবি টংকাবতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে মো. জসীম উদ্দীনকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও সরকারি নিয়মবহির্ভূত। নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন ২০১৯ অনুযায়ী একজন ব্যক্তিকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য (পুরুষ) হতে হলে বিধি ১ নিয়ম ৩ অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস হতে হবে এবং তার ছেলে/মেয়েকে অত্র বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রী হতে হবে। কিন্তু এ নিয়মের মধ্যে কোনোটাই তার যোগ্যতার মধ্যে নেই। এ ছাড়াও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে হলে একই প্রজ্ঞাপনের বিধি ২ এর নিয়ম ১ অনুযায়ী তাকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। নবগঠিত কমিটির সভাপতির এ ধরনের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। এরপরেও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উম্মে শায়কার সুলতানা সম্পূর্ণ সরকারি আইন অমান্য করে ব্যক্তিগত পছন্দের জসীম উদ্দীনকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঘোষণা করেন।

জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে আবেদনকারী বাকীবিল্লাহ শিবলী বলেন, যাকে সভাপতি করা হয়েছে সে গতবারও সভাপতি ছিল। কিন্তু স্কুলের কোনো উন্নয়ন হয়নি এমনকি স্কুলে একটা শহীদ মিনার পর্যন্ত নেই। সরকারি প্রজ্ঞাপনে যে সব যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে তার কোনোটাই নেই এই সভাপতি জসীমউদ্দিনের মাঝে। তারপরও কীভাবে সে সভাপতি হলো তা খতিয়ে দেখতে তার বহিষ্কার আদেশ চেয়ে আমি আবেদন করেছি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু রায়হান দোলন বলেন, অভিযোগটি এখনো আমি দেখতে পারিনি। অভিযোগ দেখে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ফাতেমা-তুজ- জোহরা বলেন, আমার কাছে এখনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠাবো তিনি ব্যবস্থা নেবেন।