দেশনেত্রীর ন্যায় দেশ ও জনগণের জন্য আমাদেরকেও যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের অতন্ত্র প্রহরী। তিনি ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আপসহীন সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন। দীর্ঘ ৯ বছরের সংগ্রামে, সংকটে আপোষহীন ধারায় জনগণের সঙ্গে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রæতি রক্ষা করে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। জনগণের রায়ে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দেশ ও জাতির প্রতি অসামান্য অবদান রেখেছেন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণ করে সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি নিরলস ভূমিকা পালন করেন। শোক-দুঃখ-বেদনায় যিনি জনগণকে ছেড়ে যাননি, জনগণের পাশে থেকেছেন। গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোন অপশক্তির কাছে তিনি মাথা নত করেননি। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এই অবৈধ , দুর্নীতিবাজ সরকারের হাতে দেশ ও জনগণ নিরাপদ নয়। তাই তিনি দেশ ও মানুষ বাচাঁনোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তিনি অতীতে যেমন জেল খেটেছেন বর্তমানেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় বন্দী। এখনো নব্য স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্রের দেশনেত্রী দেশ ও জনগণের জন্য যেভাবে ত্যাগ স্বীকার করেছেন ,আমাদেরকেও সেভাবে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রিয় নেত্রীর জন্মদিনে আমরা তাঁর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আজ ১৫ আগস্ট (সোমবার) বাদ যোহর বক্সিরহাটস্থ হযরত বদর শাহ (রাঃ) এর মাজার প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি একথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হলেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সারাবিশ্বের গণতন্ত্রের প্রতীক ও মজলুম নেত্রী এবং গণতন্ত্রের জন্য জীবন্ত কিংবদন্তি। এই ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনীতি থেকে তাঁকে মাইনাস করে দেয়ার অনেক ষড়যন্ত্র করেছিল। সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে এদেশের মানুষের সাথেই তিনি নিজের ভাগ্যকে মিলিয়ে  নিয়েছেন। গণতন্ত্রের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম আজোবধি অব্যাহত রয়েছে। আমরা প্রিয়নেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান এর নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।

দোয়া মাহফিলে নেত্রীর আরোগ্য, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে শরিক হন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, এড. সাইদুল ইসলাম, হারুন আল রশিদ, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, এম আবু বক্কর রাজু , সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সোহাগ, এমদাদুল হোসেন স্বপন, সৈয়দ মফিজ উদ্দিন সুমন,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, সাইফুল আলম দিপু, রবিউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আকবর হোসেন মানিক, অর্থনীতি সম্পাদক জসিম উদ্দিন, মানবাধিকার সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, বাকের হোসেন, পতেঙ্গা আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, পাহাড়তলী আহবায়ক আনিসুজ্জামান পাটোয়ারী টুটুল, বায়েজিদ আহবায়ক আলতাফ হোসেন, বন্দর থানা আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, বাকলিয়া আহবায়ক মো. দুলাল মিয়া, কোতোয়ালি আহবায়ক এন মোহাম্মদ রিমন, চান্দগাঁও সদস্য সচিব মোঃ শহীদুজ্জামান, চকবাজার সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম শহীদ, সদরঘাট সদস্য সচিব মুন্না, থানা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু সালেহ আবিদ, মো. পারভেজ, মনোয়ার হোসেন নিশাত, আইনুল ইসলাম জুয়েল,কামাল হোসেন খোকন, মোঃ জামশেদ, মো দেলোয়ার, নিজাম উদ্দিন, আরিফুর রহমান হিরু, মো. আমির, শাহালম প্রমুখ।