মাতামুহুরীতে নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি। কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার সাড়ে ৫ ঘন্টা পর মো. রিফাত (১৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ৮টার দিকে মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় মো. রিফাত। পরে চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল এসে এদিন দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজঘোনা পশ্চিমপাড়া এলাকার নদী পয়েন্ট থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে। নিহত মো.রিফাত উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকার মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। তিনি চকরিয়া পৌরশহরের একটি জুতার দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করার সুবাদে ওই দোকানের মালিক মৌলানা নূরুল আমিনের সাহাবিলস্থ বাড়িত থাকতেন। চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন অফিসার মো. সাইফুল হাসান বলেন,উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজঘোনা পশ্চিমপাড়া এলাকার মাতামুহুরী নদী পয়েন্টে গোসল করতে নেমে এক যুবক নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে দমকল বাহিনীর লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও স্থাণীয় লোকজন অনেক চেষ্টা করেও নিখোঁজ যুবককে উদ্ধার করতে না পেরে চট্টগ্রামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলকে খবর দেওয়া হয়। দুপুর বারটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল এসে দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে মাতামুহুরী নদী থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে। পরে নিহত ওই যুবকের লাশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া চকরিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বলেন, মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে চোরা বালিতে আটকে নিখোঁজ হওয়ার সাড়ে ৫ ঘন্টা পর মো. রিফাত (১৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। এ ব্যাপারে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় এবং নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মানবিক দিক বিবেচনা করে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।