রাউজানের নিউজ

চট্টগ্রাম কাপ্তাই মহাসড়কে ওভার টেক করতে গিয়ে ট্রাকের সাথে সংর্ঘষে প্রান গেল মোটর সাইকেল চালকের
শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের রাউজানে সড়ক দুর্ঘটনায় শিমুল শীল (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।গত ১৯ জুলাই মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের নোয়াপাড়া ব্রাহ্মনহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে আরোহী শিমুল একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।ট্রাকটি শহরমুখি ছিল,বিপরীত দিক থেকে যাওয়া মোটরসাইকেলটি অপর একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গেলে ট্রাকের ওপর গিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ট্রাক চালক মোটর সাইকেলটির সংঘর্ষ এড়াতে চেষ্টা করতে গিয়ে ট্রাকটি সড়ক পাশের গাছের উপর গিয়ে পড়ে। এর আগেই মোটরসাইকেলটির চালক ট্রাকের ধাক্কায় গাড়িটিসহ ছিটকে পড়ে সড়ক পাশে।
এই ঘটনায় নিহত শিমুল শীলের বাড়ি রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তর পাড়া ২নম্বর ওর্য়াডের পাল পাড়া গ্রামে। নিহত শিমুল শীল পাল পাড়া এলাকার মৃত পরিমল শীলের পুত্র। পরিবার সূত্রে, নজুমিয়া হাট থেকে বাড়ি আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার তিনি। সেই সেলুনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার বিবাহিত জীবনে দুই কন্যা সন্তান রেখে যান। নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অনুপম দাশ জানান, কাপ্তাই সড়কের নোয়াপাড়া ব্রাহ্মনহাট এলাকায় ট্রাক-মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শিমুল শীল নামে একজন মারা গেছেন।আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি ।

রাউজানে বুুষ্টার ডোজ গ্রহন করার সময়ে হঠাৎ ধসে পড়ে কমিনিউটি কিলিœকের নিচের ফ্লোর


শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ বুষ্টার ডোজ গ্রহন করার জন্য রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের হলদিয়া কমিনিউটি ক্লিনিকে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে বুষ্টার ডোজ নেওয়ার সময়ে হঠাৎ ধসে পড়ে কমিনিউটি ক্লিনিকের নিচের ফ্লোর । গতকাল ২০ জুলাই বুধবার সকাল ১০ টার সময়ে এই ঘটনা সংগঠিত হয় । কমিনিউটি ক্লিনিকের ফ্লোর ধসে পড়ার সময়ে কমিনিউটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন কারী স্বাস্থ্য সহকারী মৃদুল কান্তি নাথ, পরিবার পরিকল্পনা সহকারী লীলা প্রভা বড়–য়া ধসে পড়া গর্তে আটকা পড়ে । ঐ সময়ে বুষ্টার ডোজ গ্রহন করার জন্য যে সব লোক কমিনিউটি ক্লিনিকের বারান্দআয় দাড়ানে ছিল তারা দৌড়ে বাহিরে বের হয়ে যায় । আটক পড়া স্বাস্থ্য সহকারী মৃদুল কান্তি নাথ, পরিবার পরিকল্পনা সহকারী লীলা প্রভা বড়–য়াকে ধসে পড়া গর্ত থেকে তুলে এলাকার লোকজন । পরে কমিনিউটি ক্লিনিকের পাশে একটি কেজি স্কুলে আগত লোকজনকে বুষ্টার ডোজ দেয়া হয় । গত ২০১৫ সালে হলদিয়া ইউনিয়ন কমিনিউটি ক্লিনিক নির্মান করা হয় । কমিনিউটি ক্লিনিকের ফ্লোর ধসে পড়া প্রসঙ্গে হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ফ্লোর ধসে পড়ার ঘটনায় কেউ আহত হয়নি । বিষয়টি রাউজান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার নিক্সন চৌধুরীকে জানানো হয়েছে ।

রাউজানের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বুষ্টার ডোজ প্রদান

শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ করোনার প্রার্দুভাব থেকে রক্ষায় রাউজানের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় গতকাল ২০ জুলাই বুষ্টার ডোজ দেওয়া হয় । সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সময়ে এলাকার নারী পুরুষ এসে বুষ্টার ডোজ গ্রহন করেন । গতকাল ২০ জুলাই বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সময়ে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকল্প, পরিবার পরিকল্পনা অফিস, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা অফিস, কমিনিউটি ক্লিনিকের দায়িত্ব রত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সহকারীরা বুষ্টার ডোজ প্রদান করেন এলাকার লোকজনকে । ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ডাবুয়ার হিংগলা মুছা শাহ বাজার এলাকায় বুৃষ্টার ডোজ প্রদান করার কার্যক্রম এর উদ্বোধন করেন ডাবুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল রহমান চৌধুরী । এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত চৌধুরী, মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম, মিটু শীল, মহিলা মেম্বার ইছমিত আরা শাহিন ।

রাউজানে ২ বৎসরে ও শেষ হয়নি দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কের উন্নয়ন কাজ যানবাহন চলাচল করছে ঝুকিঁ নিয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চরম দুভোর্গের মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে


শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলা সদরের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়ক । সড়কটি রাউজান জলিল নগর বাস ষ্টেশন থেকে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়ক থেকে শুরু হয়ে জলিল নগর বাস ষ্টেশন, রাউজান ফকির হাট বাজার, রাউজান উপজেলা পরিষদ ভবন, রাউজান পৌরসভা হয়ে ডাক বাংলো ভবনের পাশ দিয়ে রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের দারগো বাড়ী, স্বপনের দোকান, বাচাঁ মিয়ার দোকান হয়ে ডাবুয়্ াইউনিয়নের কেউকদাইর, জগ্ননাথ হাট, হলদিয়া ইউনিয়নের আমির হাট, উত্তর সর্তা দরগাহছড়ি বাজার হয়ে ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর হয়ে আজাদী বাজারের দক্ষিন পাশে গহিরা হেয়াকো সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে । সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন রাউজান ফটিকছড়ির হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এছাড়া ও স্কুল কলেজ মার্দ্রাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক শিক্ষিকা সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরীফে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সড়কটি দিয়ে চলাচল করেন । সড়কটি দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা, ট্রাক, জীপ চলাচল করে। গত কয়েক বৎসর পুর্বে বন্যায় সড়কটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় । রাউজানের সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের উন্নয়ন কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয় । স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে সড়কটি উন্নয়ন কাজের জন্য টেন্ডার আহবান করা হলে , ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যায়ে রাউজান জলিল নগর বাস ষ্টেশন থেকে ডাবুয়া কেউকদাইর পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী নেয় চৌধুরী এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। গত ২০২১সালের ৯ ফেব্রুয়ারী ঠিকাদারী প্রতিষ্টান চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ সড়কের উন্নয়ন কাঝ শুরু করে। চলতি বৎসরের ৩০ জুন সড়কের নির্মান কাজ শেষ করার কথা থাকলে ও ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ করেনি । সড়কের রাউজান উপজেলা সদরের ডাক বাংলো ভবনের পাশে , উপজেলঅ সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের উত্তর পাশে, দারগো বাড়ী, এলাকায় সড়কের মধ্যে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে যানবাহন চলাচল করছে ঝুকিঁ নিয়ে । একই সড়কের ডাবুৃয়া কেউকদাইর এলাকা থেকে হলদিয়া আমির হাট সর্তা খালের উপর ব্রীজ পযন্ত সড়কটি উন্নয়ন কাজের জন্য ২য় দপে টেন্ডার আহবান করলে একই ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সড়কের উন্নয়ন কাজ নেয় । চলতি সনের ৩০ ফেব্রুয়ারী সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করে। ২য় দপে সড়কের উন্নয়ন কাজ চলতি মাসের ২৭ জুলাই শেষ করার কথা । ২য দপে সড়কের উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান চৌধুরী এন্টার প্রাইজ কেউকদাইর হতে ডাবুয়া জগ্ননাথ হাটের পুর্বে বনা পুকুর পর্যন্ত সড়কের পাশে মাটি ভরাট, রেলিং বসানো হয় । জগ্ননাথ হাট থেকে হলদিয়া আমির হাট সর্তা খালের ব্রীজ পর্যন্ত এখনো সড়কের উন্নয়ন কাজ করেনি । সড়কের মধ্যে বড় বড় গর্ত দিয়ে মারাত্বক ঝুকিঁ নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে যানবাহন। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করছেন । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে, প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, ১ম দপে দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কের উন্নয়ন চলতি সনের ৩০ জুনের মধ্যে প্রায় শেষ করা হয়েছে। রাউজান ডাকবাংালো ভবন থেকে সাড়ে চারশত মিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ বৃষ্টির কারনে করতে পারেনি । তড়িৎ সড়কের সাড়ে চারশত মিটার উন্নয়ন কাজ শেষ করবো । ২য় দপে দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কের কেউকদাইর থেকে হলদিয়া আমির হাট সর্তা খালের ব্রীজ পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে । নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সড়কের নির্মান কাজ শেষ করা না হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের বিরুদ্বে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।