৪ নারী সাফল্যের ইতিহাস

রাউজান প্রতিনিধিঃ রাউজানে জীবন সংগ্রামে বিজয়ী শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী চার নারী জেবু নেসা, শুভ্রা দাশ গুপ্তা, সাকি আকতার, রোজি আকতার এর সাাফল্যের ইতিহাস । রাউজান উপজেলার শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী চার নারী জয়িতার পুরস্কার লাভ করেন । তারা হলেন, রাউজান পৌরসভার ৪, ৫, ৬ নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জেবুন নেছা । শিক্ষিকা শুভ্রা দাশ গুপ্তা, খামারী সাকি আকতার, কৃষাণী রোজি আকতার । জীবনযুদ্বে সাফল্য অর্জনকারী চার নারীকে শ্রেষ্ট জয়িতা হিসাবে রাউজান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কারে ভুষিত করেন । চার নারী জয়িতার মধ্যে রাউজান পৌরসভার ৪.৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর জেবুন নেছা ১৯৯৫ সালে বি, এ পাশ করেন। পড়া লেখা শেষে সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজে অংশ গ্রহন করেন। শিক্ষা জীবন থেকে জেবুন নেছা বঙ্গবন্দ্বু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে রাজনীতি করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি হাটহাজারী কুয়াইশ শেথ মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজ ছত্রলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করেন ।রাজনীতি করে তার এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কার্লভার্ট এওবং শিক্ষা প্রতিষ্টানের উন্নয়ন করেন । ১৯৯৭ সালে রাউজান পৌরসভার সুলতানপুর বড়বাড়ী পাড়া এলাকার ব্যাংকের চাকুরীজীবি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর শ্বাশুর বাড়ীতে থেকে শ্বাশুর ও স্বামী সহায়তায় রাউজান পৌরসভার ৪, ৫, ৬ নং সরখ্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নিবাচিত হয়ে এলাকায় সফল জনপ্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পর পর ৩বার মহিলঅ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে জেবুন নেছা অসহায়, দরিদ্র মানুষের সেবা করে আসছেন। দরিদ্র অসহায় পরিবারের অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা, মেয়ের বিবাহে আর্থিক সহায়তা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচির আওতায় বিভিন্ন ভাতা সঠিক ভাবে পাওয়ার কাঝে সহায়তা প্রদান কর্ েআসছে । এছাড়া ও রাস্তাঘাট , ব্রীজ কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্টান সহ সরকারী বিভিন্ন অনুদান সঠিক প্রাপ্য ব্যক্তিদের কাছে পৌছে দেওয়ার অসামান্য অবদান রেখে আসছে । এই নারীকৈ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য শ্রেষ্ট জয়িতার পুরস্কার দেওয়া হয়।

শুভ্রা দাশ গুপ্তা তার পিতার সংসারে দরিদ্রতার মধ্যেদিয়ে ১৯৯৭ সালে এস এস সি পাশ করেন। বিয়ের পর নিজের উদ্যোগে এইচ, এস সি . বি, এ, বিএড পাশ করেন । রাউজানের কোয়ে পাড়া জগৎ চন্দ্রসেন কৃষি ও শিল্প উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তার ৩ সন্তানের মধ্যে মেয়ে শর্মী নন্দী শিক্ষতা করেন। বড় ছেওেল তন্ময় ননদী যমুনা ব্যাংক লিমিেিটডে কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরী করছেন । ২য় ছেলে সন্তান শুভ নন্দী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব রক্ষক পদে কর্মরত আছেন । শুভা দাশ গুপ্তার স্বামী তপন নন্দী ২০০০ সালে মারা যাওয়ারি পর থেকে নিজ উদ্যেগে পড়া লেথা করে নিজ যোগ্যতায় চাকুরীতে যোগদান করে নিজের প্রচেষ্টায় ছেলে মেয়েকে লেখাপড়া করান ।শুভ্রা দাশ গুপ্তা এওকজন শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনকারী নারী ।
সাকি আকতার স্বামীর নির্য়াতনের বিভিষিকা মুছে ফেলে নতুন ইদ্যোমে জীবন শুরু করেন । সাকি আকতার ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত লেখপাড়া করে। ২০০৯ সালে হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারে সাকি আকতারকে বিয়ে দেয় । স্বামীর সাথে দাম্পত্যকলহ শুরু হয় । স্বামী আরো একটি বিয়ে করেন। স্বামী আরেকটি বিয়েকরার প্রতিবাদ করায় সাকি আকতারকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন স্বামী । এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার দিলে ও কোন বিচার সা পেয়ে তার সন্তানদের নিয়ে তার পিতার বাড়ীতে চলে আসেন । বাপের বাড়ীতে এসে বোনের কাছ থেকে সেলাই কাজ শিখে ছোট ভাই থেকে টাকা ধার নিয়ে সেলাই মেশিন ক্রয় করে সেলাই কাজ করে। পাশাপাশি বাড়ীর আঙ্গিনায় সব্জি ক্ষেত, হাসঁ মুরগী,গরু পালন করে সফলতা অর্জন করেন । বর্তমানে সাকি আকতারের একটি টেইলার্সের দোকান রয়েছে, তার দোকানে আরা চার জন মেয়ে সেলাই কাজ করে জিবিকা অর্জন করছেন ।ঠ তার বর্তমানে হাসঁ মুরগীর খামার রয়েছে ।
রোজি আকতার দরিদ্র পরিবারে জম্ম গ্রহন করেন । ২০০৪ সালে এস এস সি পাশ করে। দরিদ্রতার কারনে লেখাপড়া করতে পারেনি রোজি আকতার । দরিদ্র পরিবারে রোজিকে বিয়ে দেয় ।স্বামীর অল্প আয়ে আভাবের মধ্যে সংসার কাছে রোজির । পওে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যলয়ে এসে সেলাই প্রশিক্ষন গ্রহন করে। সেলাই প্রশিক্ষন কোর্স থেকে পাওয়া যাতায়াত ভাতার টাকা দিয়ে সেলাই মেশিন ক্রয় করে সেলাই কাজ ও হাস, মুরগী গরু পালিন বাড়ীর পাশে শাক সব্জি ক্ষেত করে যে টাকা আয় করে ঐ টাকা দিয়ে সংসারের অভাব দুর করেন রোজি আকতার । বর্তমানে স্বামী সন্তানদের নিয়ে সুখে দিন কাটাচে।ছন রোজি আকতার ।