বৃষ্টিভেজা আউটফিল্ড, তাই টস গড়াতে হচ্ছে দেরি

বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ঈদের দিনটা আরও রাঙাতে মাঠে নামছে টাইগাররা! সারা দিনের ব্যস্ততা শেষে সন্ধ্যাটা টিভি সেটের সামনে টাইগারদের নৈপুণ্য দেখার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির মতো হতাশাজনক পারফরম্যান্স না হলে খেলা নিশ্চয়ই উপভোগ করবেন তারা।

ওয়ানডের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে ফুরফুরে মেজাজেই থাকার কথা। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে তামিমের দলকে। যে ফরম্যাটটা সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে বাংলাদেশ, সেই ওয়ানডের তিন ম্যাচ সিরিজে শুভসূচনার স্বপ্নে বিভোর সবাই।

প্রথমবারের মতো দুই সুপারস্টারকে একসঙ্গে পাচ্ছে না দল। হজের কারণে আগেই নেই মুশফিক। তবে, চিন্তাটা বেশি সাকিব না থাকায়। যদিও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার না থাকলেও ক্যাপ্টেনের নাকি অত মাথাব্যথা নেই।

সাকিব-মুশফিকের অনুপস্থিতিতে দলে অবধারিতভাবেই এসেছে পরিবর্তন। টেস্ট, টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডের টপঅর্ডারেও দেখা যেতে পারে বিজয়কে। একাদশে ফিরতে পারেন মোসাদ্দেক-সোহানরাও। যদিও বৃষ্টির কারণে ঠিকমতো অনুশীলন করতে না পারায় প্রস্তুতি নিয়ে শতভাগ সন্তুষ্ট হতে পারছে না সফররতরা। সিরিজের আগে অবশ্য অধিনায়ক তামিমের অস্বস্তির জায়গাটা হল অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়া। বৃষ্টির কারণে দুই দিনের বিরতি খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি তামিমের দল।

 

এদিকে, জয়ের ধারায় থাকলেও ওয়ানডেতে সবশেষ ২০১৪ সালে বাংলাদেশকে সিরিজ হারাতে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর টানা তিন সিরিজে হেরেছে তারা। গায়ানাতেও তিন ওয়ানডের ২টিতে জয় আছে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের। তবুও নতুন অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের নেতৃত্বে ওডিআইতেও দারুণ কিছুর আশায় স্বাগতিকরা।

এই সিরিজটি অবশ্য ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ নয়। তবে এখন পর্যন্ত জয়হীন সফরের শেষটা জয়ে রাঙিয়ে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার উপলক্ষ হতে পারে এই ওয়ানডে সিরিজ।