ফরিদপুরে আলোচনায় সম্রাট, সমানতালে হাঁটছে মেসি

মুকুটবিহীন সম্রাট এখন ফরিদপুরের হাটগুলোর আলোচনার শীর্ষে। সমান তালে হাঁটছে মেসিও। কোরবানিকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের খামারিদের চলে গরু মোটাতাজা করার খেলা। ফরিদপুরের হাটগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সম্রাটের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ আর মেসির ১০ লাখ টাকায় খুশি খামারি। ফরিদপুর শহরের বিলমামুদপুর গ্রামের মাইশ ডেইরি ফার্মের রফিকুল ইসলাম সবুজের নিজের ফার্মের ১২০টি গরুর মধ্যে সম্রাট অন্যতম। ছোট থেকেই গরুটির গঠন ভিন্ন ধরনের। তাই নিজের সন্তানের মতোই লালন-পালন করছে সবুজ ও তার পরিবার। খেতে দিয়েছেন দেশি ঘাস, খৈল, ভুসির পাশাপাশি নিজের বাগানের ফল এবং আপেল কমলা আঙ্গুর। গত বছর সম্রাটকে বিক্রির জন্য হাটে নিলে দাম মনমতো না হওয়ায় বিকি করেননি। মাত্র চার বছরের সম্রাট এখন ১১ ফুট লম্বা আর ৬ ফুট উচ্চ।

সম্রাটের ওজন ৪০ মণ। স্থানীয় বাজারে সম্রাটের কেনার মতো খরিদদার নেই। সবুজ এখানে দামাদামি করলেও তার চাহিদামতো দাম কেউ বলছে না। বাধ্য হয়েই গরুটি রাজধানী ঢাকা অথবা চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছেন তিনি। অপরদিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের বিলগোবিন্দ্রপুরের গরু মেসি। সাইফুজ্জামান সর্দারের অনেক আদরের গরু মেসি। গরুটির দাম চেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। তবে ক্রেতার চাহিদার ওপর দামাদামি করা যাবে বলেও তিনি জানান। এদিকে বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ছোট বড় গরুর সমাহার দেখা যাচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাও ভালো। গরু বিক্রিও হচ্ছে ভালো। সম্প্রতি ফরিদপুরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গরুর খামার। এসব খামারে শৌখিন খামারিরা ছোট গরুর পাশাপাশি বড় গরুর লালন-পালন করছেন। পদ্মা সেতুর কারণে সহজেই তারা রাজধানীতে গরুগুলো বিক্রি করার সুবিধা পাচ্ছেন।