মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবু মোঃ ফারুকী একজন মহৎপ্রাণ আলোকিত ব্যক্তিত্ব

চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ভাষা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর, অবিভক্ত জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক, কলামিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবু মোহাম্মদ ফারুকীর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভা, দোয়া মাহফিল ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান গত ৩০ জুন সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বাব্লু কান্তি দাশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড.ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী। উদ্ভোধক ছিলেন ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডাঃ প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ আলোচক ছিলেন পটিয়া পৌর মেয়র মোঃ আইয়ুব বাবুল। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদ আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভানুরঞ্জণ চক্রবর্তী, কবি আশীষ সেন, মরহুমের সন্তান খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শোয়েব ফারুকী, মোঃ জহির, অধ্যক্ষ উত্তম কুমার আচার্য্য শিক্ষক বিজয় শংকর চৌধুরী, হামিদা বেগম ফারুকী, ডাঃ আর.কে.রুবেল, পারভেজ ফারুকী, রুপম মূৎসূদ্দী টিটু, কবি সজল দাশ, আবৃত্তিশিল্পী শাহীন ফেরদৌসী, দিলীপ সেনগুপ্ত, সঙ্গীত শিল্পী কাকলী দাশ গুপ্তা, সাফাত সানাউল্লাহ, সুমন বড়ুয়া, সাবিহা সুলতানা রক্সি, মোঃ জাফর আলম প্রমুখ। আবৃত্তি করেন শবম ফেরদৌসী, যারীন সুবাহ। উপস্থিত ছিলেন আশফাক ফারুকী, কাউছার আলম, নজরুল ইসলাম, মোঃ মহিউদ্দীন, গাজী মোঃ বোরহান উদ্দীন, বিপ্লব ভট্টাচার্য, মোও হোসেন মধু, সবুজ চৌধুরী, রতন ঘোষ, প্রিয়াংকা ভট্টাচার্য, শিহাব রহমান, মোঃ তিতাস, যেবা সুবাহ। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন মহৎ হতে হলে মহাত্মাদের পদাঙ্ক অনুসরণ অপরিহার্য। মিয়া আবু মোহাম্মদ ফারুকী একজন মহৎপ্রাণ আলোকিত ব্যক্তিত্ব। রাজনীতির শুদ্ধ পথপরিক্রমা যার ছিল নিত্য সাথিয়া। পরিশুদ্ধ ও পরিশীলিত চলনে রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকা-ে ত্যাগ ও সেবায় ছিলেন ভাস্বর। এরকম মহাত্মা প্রাগ্রসর পুরুষের জীবন কর্ম অনুশীলন অনুধ্যান আজ খুবই প্রয়োজন। অনুষ্ঠান ৫ জন শিক্ষার্থীকে মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবু মোঃ ফারুকী স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন মিয়া ফারুকী আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। আওয়ামী পরিবারকে সংগঠিত করতে তিনি আমৃত্যু কর্মীবান্ধা নেতা হিসেবে ভুমিকা রেখে গেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সমাজসেবা, লেখালেখি, পাঠাগার আন্দোলনসহ আলোকিত জীবনের সন্ধ্যানে সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। রাজনীতি করে দেশের মানুষের কল্যাণ যেমন করে গেছেন অনুরুপ নিজের প্রতিটি সন্তানকে সুশিক্ষায় মানুষ করে গেছেন। একজন দেশপ্রেমিক মহান মানুষ হিসেবে মিয়া ফারুকী প্রজন্মের মাঝে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন।