পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির সুপারিশ ভোক্তা অধিদপ্তরের

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পেঁয়াজের দাম এখন বাড়তি। এটি অস্বাভাবিকও বটে। কারণ, দেশে এবার পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে এবং বিপুল মজুতও রয়েছে। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্যবসায়ীদের দিকে আঙুল তুলেছে।

সংস্থাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বাজার অস্থিতিশীল ও অনিয়ন্ত্রিত করার অপচেষ্টার অভিযোগ এনেছে। একই সঙ্গে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে লেখা এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

চিঠিতে বলা হয়, বাজার তদারকির সময় ভোক্তা অধিদপ্তর ঢাকার শ্যামবাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রির খবর জেনেছে তারা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০–১৫ টাকা বেড়েছে।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দাম আরও বাড়ানোর পাঁয়তারা করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত উৎপাদন ও মজুত থাকা সত্ত্বেও এই অবস্থাকে বাজার অস্থিতিশীল করার প্রয়াস হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। তাই বাজারের লাগাম টানতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

ভোক্তা অধিদপ্তর বলেছে, এই সময়ে পাবনা ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন মোকামে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর কৃষকদের প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকা। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। বিপুল মজুতও রয়েছে।

তবে আগের বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে বর্তমান সময়ে ভারত থেকে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির কার্যক্রম হাতে নেওয়াকেই সমীচীন বলে মনে করছে সরকারি সংস্থাটি। এ জন্য ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন (আইপি) দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তারা। এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে পেঁয়াজের আইপি প্রদান বন্ধ রয়েছে।

এদিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঈদুল আজহা উপলক্ষে লবণের সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং কাঁচা চামড়ার গুণগত মান বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার সকালে এক মতবিনিময় সভা ডেকেছে। ঢাকায় সংস্থাটির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই সভা।