মোটর বাইক চুরির তিন কারবারি গ্রেফতার সাতটি বাইক উদ্ধার

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ::
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে চোরা কারবারি রুবেলকে হাতেনাতে ধরেছে থানা পুলিশ। এরপর রাতভর অভিযান চালিয়ে দুই সহযোগীসহ মোট ৭টি মোটর বাইক উদ্ধার করে পুলিশ। গত রবিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ৮টায় মিরসরাই থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মোটর বাইক চোর রুবেলের পুলিশকে দেয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে মেলে এসব তথ্য। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে দুই সহযোগীসহ মোট ৭টি মোটর বাইক উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত কয়েকদিন ধরে মোটর বাইক চুরির একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে রবিবার রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের খিলমুরালি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেন রুবেলকে। এরপর তার দেয়া তথ্য মতে উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘোরিয়ো টোলা, ফেনী সদরের লেমুয়া, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের সীতাকু-ে অভিযান চালিয়ে তার তিন সহযোগী মো. বাবু (আটক), আব্দুল্লাহ আল নোমান ও গেরেজ মালিক ঈসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া এদের প্রত্যেকের দেয়া তথ্য মতে ৭টি ডিসকাভার ও পালসার মোটর বাইক উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে রুবেলকে ডাকাতি ও চুরির মামলায় আদালতে তোলা হয়েছে। বাকিদের বাইক চুরির মামলায় আদালতে তোলা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব চন্দ্র পোদ্দার জানান, সোমবার (২৭ জুন) রুবেলসহ তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘গত কিছুদিন যাবত আমরা মোটর বাইক চুরির কিছু অভিযোগ পাচ্ছিলাম। তারই নিরিখে অভিযান চালিয়ে এসব আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৭টি মোটর বাইক উদ্ধার করা হয়। মোটরবাইকগুলো কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মালিকদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

এসময় ওসি আরো বলেন, ‘বেশ অভিনব কায়দায় রুবেল ও তার সিন্ডিকেট চট্টগ্রামের মিরসরাই-সীতাকু-, নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকা এবং ফেনীর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটর বাইক চুরি করে তা গেরেজ মালিক ঈসমাইলের কাছে বিক্রি করে দিতো। ঈসমাইল তা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবারহ করতো।’