চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ডা. শাহাদাত হোসেনের শোক

টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার বিজয় নগর ও বরিশাল ঘোনায় পাহাড় ধসে ৪ জন মানুষের মর্মান্তিক প্রাণহানিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
শনিবার (১৮ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনায় আহত মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপির নেতাকর্মী ও চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, টানা প্রবল বৃষ্টির মধ্যে পাহাড় ধসে ৪ জনের মৃত্যু ও অসংখ্য মানুষ আহত হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে শোকার্ত ও মর্মাহত। এহেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাহাড়সংলগ্ন বসবাসকারী মানুষ হতাহতের হৃদয়বিদারক ঘটনায় দুঃখ প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। বিগত বছরগুলোতেও প্রবল বর্ষণে ভূমি ধসের মহাদুর্যোগে অসংখ্য প্রাণহানিসহ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাহাকারে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। এই মর্মস্পর্শী অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির পক্ষ থেকে ভূমিধস প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হলেও, চট্টগ্রামের প্রশাসন ও সরকার ভ্রুক্ষেপ করেনি। জনগণের নিরাপত্তা বিধানে ভোটারবিহীন সরকার আন্তরিক নয় বলেই মানুষের জীবন ও সহায় সম্বলের নিরাপত্তাকে অগ্রাহ্য করা হয়। সে জন্য প্রতি বছর ভূমি ধসে এত মানুষের জীবনহানির পরও সরকারের টনক নড়েনি। পরবর্তী দুর্ঘটনা মোকাবেলা করতে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলেই এবারো প্রবল বর্ষণে ৪ জন মানুষের জীবনহানি হলো।

তিনি বলেন, এমনিতেই সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো চট্টগ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। সেখানে জলজট এবং যানজট লেগেই থাকে। বর্তমানে চট্টগ্রামের মানুষ অসহায়ভাবে তাদের দিন যাপন করছে। অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটার কারণে প্রতিবছর পাহাড় ধসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। অথচ চট্টগ্রামের উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকার কারনে এবং জনগণের প্রতি তাদের কোন দয়া মায়া নেই বলেই এধরনের ঘটনা ঘটছে।

তিনি পাহাড় ধসে নিহত ও আহত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পরিজনদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সবপর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তাছাড়া পাহাড় ধসে নিহতদের রূহের শান্তি কামনা ও তাদের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।