চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিলে আবুল হাশেম বক্কর

বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়ে হাসপাতালে থাকতে থাকতেই আরেকটা উপসর্গ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন তার এনজিওগ্রাম করে তার মেইন আর্টারিটা ৯৯ পারসেন্ট ব্লক পেয়েছেন। সেখানে রিং পড়ানো হয়েছে। বিএনপি ও পরিবারের পক্ষ থেকে বহুবার খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে পরিপূর্ণ মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি রবিবার (১২ জুন) বাদে জোহর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক। এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আজকে তিনি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রমাণিত হলো, অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পারলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তাঁর বহু অবদান রয়েছে। তাঁকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তার জীবন রক্ষার জন্য দেশের বাইরে তার চিকিৎসা করার ব্যবস্থা নেয়া হোক। অন্যথায়, সকল দায় দায়িত্ব এই সরকারকে বহন করতে হবে। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, শ্রমিকদলের শেখ নুরুল্লাহ বাহার, শ ম জামাল উদ্দিন, থানা বিএনপির সভাপতি মো. আজম, মোশারফ হোসেন ডেপটী, আবদুস সাত্তার সেলিম, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, হাবিবুর রহমান, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইসমাইল বালী, হাজী নবাব খান, আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ছগির, মন্জুর আলম মন্জু, মো. হারুন, ফারুক আহমদ, রফিক চৌধুরী, খাজা আলাউদ্দিন, মোশারফ জামাল, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হাসান ওসমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন আরজু, জিয়াউর রহমান জিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জসিম মিয়া, সাদেকুর রহমান রিপন, হাজী মো. জাহেদ, মনজুর কাদের প্রমুখ।