মানবতার বাতিঘর হযরত জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট

শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ
সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্টিকে স্বাবলম্বী করে তুলতে কাজ করছে সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট। জানা যায়, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ট্রাস্ট থেকে হাজার হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সহায়তা দিয়ে স্বাবলম্বী করেছেন। ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প (যাকাত তহবিল)’ বছরজুড়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে নিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে থাকেন। এছাড়া কন্যা দায়গ্রস্ত পিতার মেয়েকে বিবাহ, কুটির শিল্প, চিকিৎসা, গৃহনির্মাণ, ঝড়েপড়া শিক্ষার্থী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, ব্যবসায়ী, খামারিকে সহায়তাসহ সমাজ সেবামূলক কাজে করে যা”েছন। এ প্রকল্পের মধ্যে অন্ধদের পাশে দাঁড়ানো, দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন প্রদান, হাঁস-মুরগি-ছাগল লালন পালন সহায়তা, দরিদ্র কৃষকদের পাওয়ার টিলার, দরিদ্র সিএনজি চালকদের সিএনজি অটোরিকশাসহ দারিদ্র্য বিমোচন ও মানবসম্পদ উন্নয়নে সংগঠনটি কাজ করে থাকে এ ট্রাস্টের মাধ্যমে। ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানান, দেশের বিভিন্ন ¯’ানে প্রায় ৪০টি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ¯’াপন করে দরিদ্র নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ দেয়া হ”েছ। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে সেলাই মেশিন দেওয়া হয় ট্রাস্ট থেকে। চিকিৎসা সেবায় চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ¯’াপন করা হয়েছে দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র। এসব চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে দরিদ্র নারী, শিশু সহ বিভিন্ন বয়সীদের বিনামূল্যে ঔষধ সহ চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম আল মাসুদ জানান, শাহানশাহ্ধসঢ়; হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (কঃ) ট্রাস্টের মাননীয় ম্যানেজিং ট্রাস্টি শাহসুফী হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী
সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ে তুলতে বিশ্ব অলী শাহান শাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীর নামে এই ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। বছর জুড়ে এই ট্রাস্টের মাধ্যমে কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ¯’াপন করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সেবামুলক প্রতিষ্ঠান। দারিদ্র্য বিমোচন ও মানব সম্পদ উন্নয়নে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করে শাহানশাহ্ধসঢ়; হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট মানবতার বাতিঘরে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব অলী শাহান শাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট থেকে সিএনজি অটোরিক্সা পেয়ে হাটহাজারীর লাঙ্গলমোড়া এলাকার খায়ের আহম্মদ, নোয়াজিশ পুরের রফিক, সিএনজি অটোরিক্সা চালিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাছন্দে জীবর যাপন করছেন । সিএনজি চালক রফিক ও খায়ের আহম্মদ বলেন, ভাড়ায় সিএনজি অটোরিক্সা চালিয়ে সিএনজি অটোরিক্সার ভাড়ার টাকা দিয়ে যে টাকা রোজগার হতো ঐ টাকা দিয়ে পরিবার পরিজনের ব্যয়ভার বহন করা কষ্টকর হতো । বিশ্ব অলী শাহান শাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টথেকে সিএনজি অটোরিক্সা পাওয়ার পর থেকে সিএনজি অটোরিক্সা চালিয়ে আর ভাড়া দিতে হয়না । সিএনজি অটোরিক্সা চালিয়ে যে টাকা আয় করছি তা দিয়েস্বা”ছন্দে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছি ।