বিএম ডিপো ট্রাজেডিতে নিহত মিরসরাইয়ের শাহাদাতের বাড়িতে শোকের মাতম

মিরসরাই প্রতিনিধি::
সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন মিরসরাইয়ের শাহাদাত হোসেন (২৫)। সে পেশায় একজন লরি চালক। শনিবার ( ৪ জুন) লরি নিয়ে ডিপোতে প্রবেশের পর রবিবার দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ছিলেন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃতদেহ সনাক্ত করা হয়েছে। শাহাদাত উপজেলার ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার ননাই মিয়া মীর বাড়ির মৃত শাহ আলমের পুত্র। সে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লরি চালিয়ে আসছেন।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহীনুর হোসেন বলেন, শাহাদাত আমার চাচাতো ভাই। সে গত শনিবার লরিতে মালামাল লোড করতে সীতাকুন্ডের সোনাইছড়িতে অবস্থিত বিএম ডিপো যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় রাত ১০ টার দিকে ডিপোতে বিস্ফোরনের খবর পাই। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল বন্ধ রয়েছে। রবিবার সকালে ডিপোতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ১৯ নং ওয়ার্ডে তার মরদেহ সনাক্ত করা হয়। লাশ বাড়িতে আনার প্রস্তুতি চলছে।

২ ভাই ২ বোনের মধ্যে শাহাদাত বড় । ছোট ভাই আমজাদ হোসেন জোরারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে।

নিহত শাহাদাতের প্রতিবেশি মুহাম্মদ হাসান জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে শাহাদাত নিখোঁজ হয়। এরপর সবাই তাকে পাগলের মতো খোঁজ করে পায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করার পর হাসপাতালের তাঁর মরদেহ রয়েছে বলে খবর আসে। এরপর তার লাশ অঅনতে আমরা দ্রুত সেখানে ছুটে যায়। তবে সন্ধ্যা রবিবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকা পর্যন্ত লাশ হাসপাতাল থেকে বের করা যায়নি।

এদিকে সীতাকুন্ড ট্রাজেডিতে শাহাদাতের মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, সীতাকুন্ডের বিএম ডিপো ট্রাজেডিতে আমার ইউনিয়নের শাহাদাত নামে যুবক নিহত হয়েছে। শাহাদাত সহ ওই দুর্ঘটনায় নিহত সবার জন্য খুব খারাফ লাগছে।