ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় অংক বেশি, ক্যালকুলেটর নিষেধ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটর নেওয়ার অনুমতি ছিলো না। অথচ দুই তৃতীয়াংশ প্রশ্নই ছিলো অংক সংশ্লিষ্ট, যেগুলো অল্প সময়ের মধ্যে ক্যালকুলেটর ছাড়া সমাধান করা কঠিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কেন্দ্রে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীরা। তবে লিখিত পরীক্ষা আগের তুলনায় সহজ হয়েছে বলেও জানান তারা।

শুক্রবার (০৩ জুন) বেলা ১১টায় শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১২টায় শেষ হয় ঢাবির প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা। ‘গ’ ইউনিটে চবি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ হাজার ৯৮৬ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩ হাজার ৯১৯ জন। উপস্থিতির হার ৯৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ৬৭ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

ভর্তি পরীক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘যাতায়াতে কোনও সমস্যা হয়নি। শাটল ট্রেনে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। পরীক্ষাও মোটামুটি ভালো হয়েছে। কিন্তু ক্যালকুলেটর নেওয়ার অনুমতি না থাকলেও অ্যাকাউন্টিংয়ে ম্যাথ রিলেটেড প্রশ্ন বেশি থাকায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে’।

আরেক পরীক্ষার্থী হাসিবুল হাকিম বলেন, লিখিত পরীক্ষার পদ্ধতি আগের তুলনায় সহজ হয়েছে। আগের প্রশ্নগুলোতে দেখেছিলাম ব্যাখ্যা চাওয়া হতো, এবার অনেকটা একবাক্যে উত্তর করার মতো প্রশ্ন ছিলো। যার ফলে আমাদের সময় নষ্ট হয়নি। তবে ক্যালকুলেটর প্রয়োজন এমন প্রশ্নের হার ছিলো দুই তৃতীয়াংশ। যেহেতু ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ, প্রশ্ন তো সেভাবেই করা উচিৎ।

ভর্তি পরীক্ষার্থীর অভিভাবক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার মেয়ের কাছ থেকে যতটুকু শুনেছি লিখিত পরীক্ষা এবং নৈর্ব্যক্তিক দুটোতেই ক্যালকুলেটর প্রয়োজন হয়েছিলো। কিন্তু সেই সুবিধা না পাওয়ায় পরীক্ষা দিয়ে সন্তুষ্ট না সে।

দুই বছর ধরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে নৈর্ব্যক্তিক (MCQ) এবং লিখিত উভয় পদ্ধতিতে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয় ভর্তিচ্ছুদের। তবে নৈর্ব্যক্তিক এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা সময় পান ৪৫ মিনিট করে মোট ৯০ মিনিট। শুধুমাত্র নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে থেকে বেরিয়ে লিখিত এবং নৈর্ব্যক্তিক উভয় পদ্ধতির পরীক্ষা চালু করায় গত দুই বছরও দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনেও হয়নি এর ব্যতিক্রম।