জনদূর্ভোগ চরমে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে নারায়নগিরি খালমুখের বাঁশের সাঁকোটি

মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই। কয়েকদিনের বর্ষনে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে ভেঙে গেছে কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নারানগিরি খাল মুখের পারাপারের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি। এতে যাতায়াতে চরম ভোগাম্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার (৩০ মে) ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে সাঁকোর মাঝখানের অংশ ভেঙে গেছে। ফলে দুই পাড়ের মানুষ এই সাঁকো দিয়ে পার হতে পারছে না। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রাশেদ, ইউচুফ সওদাগর, মোহাম্মদ আজিজ মিয়াসহ এলাকাবাসীরা জানায়, নারানগিরি ১ নং পাড়ায় হাজারো মানুষের বসবাস। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া শতাধিক ছাত্রছাত্রী এই সাকোঁটি দিয়ে পার হয়। এছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হয় গর্ভবতী মা’ সহ স্থানীয় এলাকাবাসী। যা নিত্যদিনের কষ্টে পরিণত হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকবার ভারীবর্ষনে ও পাহাড়ী ঢলে সাঁকোটি পারাপারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। পরে তারা নিজেরা সহযোগিতা করে সাঁকোটি কোনভাবে মেরামত করে। কিন্তু কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলের কারণে গত রবিবার সাঁকোটি পুনরায় ভেঙে গেছে। এতে নারানগিরি মুখ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে বলে তারা জানান। এদিকে, ইতিপূর্বে বাঁশের সাঁকোটির দুর্দশার চিত্র নিয়ে স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ফলে সাঁকোর জায়গায় নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য সরকারি অনুমোদন হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ব্রীজ নির্মিত হচ্ছেনা। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এবিষয়ে স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শৈবাল সরকার জানান, ওই এলাকায় নতুন ব্রীজ নির্মান কাজটি রাঙামাটি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে। তবে বর্তমানে দেশের বাজারে রড, সিমেন্টের দাম বেড়ে যাওয়ায় থমকে গেছে কাজটি। তবে আগামী জুন মাসের পর এই ব্রীজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান। ২নং রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমা বলেন, এই বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি পারাপার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এখানে সাঁকোর জায়গায় একটি ব্রীজ নির্মিত হওয়া জরুরী। এবিষয়ে এলজিইডির কাপ্তাইয়ের সিনিয়র প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, করোনার কারণে পিছিয়ে পড়ার ফলে এখনো অনুমোদন হয়নি সেতু নির্মানটির নির্মাণ কাজ। এবিষয়ে, আবারও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ে ব্রীজটি নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।