কেপিএম সিবিএ সভাপতি সম্পাদকের বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মামলা

কাপ্তাই প্রতিনিধি চন্দ্রঘোনাস্থ কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেডের (কেপিএম) সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরোদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং হয়রানী মূলক এক মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৩ মে’ ২০২২ তারিখে রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কেপিএমে কর্মরত ও কেপিএম ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইমরান হাসান, পিতা- মোঃ দাউদ আলী। তিনি মিল আবাসিক এলাকার ৬ নং লাইন ও চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু এক অভিযোগে জানান, মামলার বাদী প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তারা জানান, বাদী ইমরান হাসান মামলার আর্জিতে অভিযোগ করেন গত ২৪/০৪/২০২২ তারিখ আমরা তার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছি। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আমরা বাদীর পরনের প্যান্ট থেকে ৫ হাজার টাকা চুরি করি এবং রাত প্রায় ১২ টা থেকে সাড়ে ১২ টার মধ্যে তার ৬ নং লাইনের বাসা হতে তাকে বলপূর্বক তুলে নিয়ে রাতভর কেপিএম ইঞ্জিনিয়ার কলোনিতে বেঁধে রেখে নির্যাতন করি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্যেশ্য প্রনোদিত। তারা আরও জানান, মামলার ঘটনাস্থল ইঞ্জিনিয়ার কলোনি থেকে তাদের বাসা বারঘোনিয়া কলোনির দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটারের বেশী। বারঘোনিয়া কলোনি থেকে ইঞ্চিনিয়ার কলোনি যেতে হলে প্রথমে কেআরসি স্কুল, তার কিছু দুর পরে কেপিএম এমডি বাংলা গেইট সিকিউরিটি পোষ্ট এবং অফিসার বাংলা ও শিশু বিদ্যালয় সিকিউরিটি পোষ্ট পার হয়ে যেতে হয়। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার কলোনির পশ্চিম পাশে ডিসিএল বাংলা পুলিশ ক্যাম্প, দক্ষিণে কেআরসি ও কেপিএম প্রশাসনের গেইট সিকিউরিটি পোষ্ট এবং পূর্বে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে কেপিএমের -ওয়াটার প্ল্যান্ট সিকিউরিটি পোষ্ট ও উত্তরে অফিসার বাংলা সিকিউরিটি পোষ্ট রয়েছে। আর এই ইঞ্জিনিয়ার কলোনিতে বসবাস করেন স্থায়ী ও অস্থায়ী অনেক শ্রমিক কর্মচারী। বারঘোনীয়া কলোনির ৬ নং লাইনে ইমরানের বাসা থেকে ইমরানকে টেনে হেছড়ে নেওয়ার সময় ইমরানের বাসার দুই পাশের কেউ দেখছে কিনা এবং কোন জনপ্রতিনিধি এই ঘটনা শুনেছে কিনা আপনারা সাংবাদিকরা তা যাচাই করুন এবং খবর নিয়ে দেখেন। এবিষয়ে শনিবার (২৮ মে) সকাল ১১ টায় মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মামুন এবং ঘটনাস্থল ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনির ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল হাসনাত খোকন জানান, আমরা এই ধরনের কোন ঘটনা শুনেনি। জানতে চাইলে ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, আমি এধরনের কোন ঘটনা শুনেনি এবং এমন ধরনের বিষয়ে কেউ অভিযোগও করেননি। কেপিএম ডিসিএল বাংলার পুলিশ পরিদর্শক দীপক বড়ুয়া (বাদী ইমরানকে যে কলোনী হতে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই একই কলোনীতে তিনি বসবাস করেন) জানান, এধরনের কোন ঘটনা আমি জানি না, এবং কোন ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে আমরা থানাকে অবহিত করি। কেপিএম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেনের নিকট শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একমাস আগে মিল এলাকায় এধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি শুনিনি। তবে বাদীর মামলার পর সিবিএ সভাপতি বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। এবিষয়ে শনিবার সকালে মুঠোফোনে মামলার বাদী এস এম ইমরান হাসানের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি সকল অভিযোগ সত্য বলে এই জানান।