শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেরিতে ছাড়ছে ফ্লাইট, লাগেজ পেতেও দেরি

    ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অব্যবস্থাপনার কারণে ভোগান্তির মুখে পড়ছেন যাত্রীরা। তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের জন্য আট ঘণ্টা ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত ১ মে রাতে তুলে নেওয়া হলেও ভোগান্তি কমেনি। দেরিতে ফ্লাইট ছাড়ার ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনি দেশে আসা যাত্রীদের লাগেজ পেতেও দেরি হচ্ছে।

    এজন্য বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে দায়ী করছেন অংশীজনেরা। তবে সংস্থাটি এ জন্য জনবল ও যন্ত্রপাতির ঘাটতির কথা বলছে।
    গত বছরের ডিসেম্বরে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের জন্য রাতে আট ঘণ্টা ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণার পর শাহজালাল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা যায়। টার্মিনালের ভেতরে-বাইরে, এয়ারলাইনসের চেক-ইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশন থেকে বোর্ডিং ব্রিজ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই প্রথম দিকে ছিল বিশৃঙ্খলা। অনেক ফ্লাইট দেরিতেও ছাড়ে। পরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু পুরোপুরি এখনো ঠিক হয়নি। বোর্ডিং ব্রিজ না পেয়ে বে-এরিয়াতে পার্ক করে অপেক্ষায় থাকতে হয় উড়োজাহাজগুলোকে। উড়োজাহাজ থেকে নেমে বিমানবন্দরের ভেতরে লাগেজ বেল্ট এলাকায় আসতে বাসস্বল্পতার কারণে যাত্রীদের বিলম্বের ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত।

    জনবল ও যন্ত্রপাতির সংকট
    বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন এয়ারলাইনসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি এয়ারলাইনসের যাত্রীদের চেক-ইন কাউন্টার সামলানো, বোর্ডিং, উড়োজাহাজে মালামাল ওঠানো-নামানো, যাত্রীসেবা, প্রকৌশল সেবা ও জিএসই (গ্রাউন্ড সার্ভিস ইকুইপমেন্ট) সেবাকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা বলে। এর দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ জন্য প্রতিটি এয়ারলাইনস নির্দিষ্ট হারে ফি দেয় বিমানকে। কিন্তু বিমানের পর্যাপ্ত জনবলের ঘাটতি ছাড়াও যন্ত্রপাতি ও তদারকির অভাবে জিএসএ কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। ছয় মাস আগে রাতের ফ্লাইট দিনে ও সন্ধ্যায় নিয়ে আসায় চাপ বাড়লেও পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে জনবল বাড়ানো হয়নি।