সৌদিয়ার সাথে মিল রেখে শতাধিক গ্রামে পবিত্র ঈদুল ২ মে

প্রতিবছরের মতো এবারও চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলার শতাধিক গ্রামে সোমবার (২ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের অনুসরণে ঈদ পালন করে থাকে।

দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাব মতে বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় দুইশত বছর আগে থেকে এভাবে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং চন্দ্র মাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব অনুশাসন পালন করে আসছেন।

দরবারের সূত্র জানায়, মির্জাখীল দরবার শরিফের খানকাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (কঃ), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (কঃ), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীনের (কঃ) পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীনের (কঃ) তত্ত্বাবধানে উনারই জানশীন হজরত ইমামুল আরেফীন ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান সাহেব ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন।

মির্জাখীল দরবার শরিফ সূত্র মতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসকামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী এবং সীতাকুণ্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মহালংকা, ফেনী, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ঢাকা, মুহাম্মদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মনোহরদী, মঠখোলা, বেলাব, আব্দুল্লাহনগর, কাপাসিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব, সিলেট, হবিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, মিরসরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার শতাধিক গ্রামের অনুসারীরা ৩০ রোজা শেষে আগামী সোমবার (২ মে) ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।

এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অনেক গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরাও সোমবার (২ মে) ঈদ উদযাপন করবেন।

ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরিফের মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন,‘আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী হিসেবে আমাদের নিকটবর্তী সময়ের কম ব্যবধান এবং আমাদের পূর্বের দেশসমূহে চন্দ্র দর্শন বিবেচনায়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান জ্ঞাত হয়ে- মক্কা ও মদিনা শরিফে তথা আরব বিশ্বে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে সোমবার (২ মে) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে, ইনশাআল্লাহ। ’