রাউজানের নানা খবর

ঈদকে কেন্দ্র করে রাউজান উপজেলা সদরে দাদন ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে
শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাউজান উপজেলা সদরে দাদন ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে । ক্ষুদ্র কাপড়ের দোকান ব্যবসায়ী, জুতার দোকানের ব্যবসায়ীদের নিদিষ্ট অংকের সুদের টাকার বিনিময়ে টাকা দিচে¦ছন দাদন ব্যবাসায়ীরা। দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি লাখ দশ হাজার টাকা সুদ দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা টাকা নিয়ে ব্যবসা করছে । দাদন ব্যবসায়ীদের মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন সংগঠনের নাম দিয়ে অনুষ্টান করার কথা বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, ব্যবসায়ী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা. মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে চাদাঁ নিয়ে নাম সর্বস্ব অনুষ্টান করে কিছু টাকা খরচ করে অবশিষ্ট টাকা তারা রাউজান ফকির হাট বাজারের ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী, প্রশাধনী সামগ্রী ব্যবসায়ী, জুতার দোকানের মালিক, মুরগী ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া সুদে দেয় । দাদন ব্যবসায়ীদের দেওয়া দাদনের টাকা ঈদের পরিশোধ করবে প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা সুদ দিয়ে । দাদন ব্যবসায়ীরা দাদনের টাকা ব্যবসায়ীদের দিয়ে সুদের টাকা ছাড়া ও দোকান থেকে কোন টাকা না দিয়ে কাপড়, জুতা ও প্রশাধনী সামগ্রী নিয়ে যায়। কোন টাকা না দিয়ে দাদন ব্যবসায়ী এক ব্যক্তি মুরগীর ফার্ম থেকে কোন টাকা না দিয়ে জবাই করা বিক্রিত মুরগীর পাঁ (ট্যাংক) , ডানা ( পাখ) ে মুরগী থলে ভরে মোটর সাইকেল ভর্তি করে প্রতিনিয়ত নিয়ে যায় । ব্যবসায়ীদের ঈদৈর কোনা কাটার পর ঈদের দাদন ব্যবসায়ীরা তাদের দেওয়া সুদের টাকা লাভ সহ আদায় করে নেয় । ব্যবসায় কোন লোকসান হলে দাদন ব্যবসায়ীরা দাদন ব্যবসায়ীদের টাকা দিতে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যবসা প্রতিষ্টান বিক্রয় করে দিতে হয়েছে । অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্টান ফেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, সরকারী তফশীলি ব্যাংক ও এনজি ও ব্যতিত কোন ব্যক্তি সুদের বিণিময়ে ্্ঋন দেওয়ার এখতিয়ার নেই ।

রাউজানে ৬শত জন কৃষক পেলেন আউশ ধানের বীজ ও সার
শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর রাউজানের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ৬শত জন কৃষককে আউশ ধানের চাষাবাদের জন্য ৬শত জন কৃষককে আউশ ধানের বীজ, সার প্রদান করেন । গতকাল ২৩ এপ্রিল শনিবার সকালে রাউজান উপজেলা পষিদ মাঠে কৃষকদের মধ্যে আউশ ধানের বীজ, সার বিতরন করেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকির্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি । রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজিব কুমার সুশীলের সঞ্চলনায় অনুষ্টিত আইশ ধানের বীজ ও সার বিতরন অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেসানুল হায়দার বাবুল, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন, চেয়ারম্যান ও পৌর কাউন্সিলর বৃন্দ্ব অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন ।

রাউজানে ফ্রি ড্রাইভিং প্রশিক্ষন কর্মসুচির উদ্বোধন
শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও রাউজান উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে রাউজানে ফ্রি ডাইভিং প্রশিক্ষন কর্মসুচি চালা করা হয়েছে । গতকাল ২৩ এপ্রিল শনিবার সকালে রাউজান উপজেলা পরিষদ মাঠে ফ্রি ড্রাইভিং প্রশিক্ষন কর্মশালার উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকির্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি । এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেসানুল হায়দার বাবুল, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেসানুল হায়দার বাবুল, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ।

রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সুর্যখোলা বিলে মাটি দিয়ে বরাট করা হয়ে কৃষি জমি পানি চলাচলের পথ বন্দ্ব খালের জায়গায় নির্মান করা হচ্ছে সীমানা প্রাচীর
শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সুর্যখোলা বিলে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়ে কৃষি জমি পানি চলাচলের পথ বন্দ্ব খালের জায়গায় নির্মান করা হচ্ছে সীমানা প্রাচীর । রাউজান পৌরসভ্ওা ৮নং ওয়ার্ডের জলিল নগর বাস ষ্টেশনের পশ্চিম পাশে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়কের পাশে রাউজান ফকির হাট বাজারের পুর্ব দক্ষিন পাশে অবস্থিত সুর্যখোলা বিল । সুর্য় খোলা বিলে একসময়ে ধান ক্ষেতের চাষাবাদ হতো। শুস্ক মৌসুমে সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ করতো কৃষকেরা । সুর্য খোলা বিলের উত্তর পাশে, র্পুব পাশে, দক্ষিন পাশে কৃষি জমি ভরাট করে নির্মান করা হয়েছে ব্যণিজ্যিক প্রতিষ্টান ও আবাসিক ভবন । সুর্য খোলা বিলের মধ্যে কিছু কৃষি জমি রয়েছে । ঐ কৃষি জমির মধ্যে কিছু জমি রয়েছে । ঐ কৃষি জমিতে এখনো ধান ক্ষেত ও সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ করে কৃষকেরা । রাউজান উপজেলার ৭নং রাউজান ইউনিয়নের খলিলাবাদ এলাক্্া ও বর্তমানে রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের জলিল নগর বাস ষ্টেশন এলাকায় বসবাসকারী প্রবাসী নুরুল আলম সুর্য খোলা বিলের বিপুল পরিমান কৃষি জমি ক্রয় করে কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করছে । কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করার পর ভরাট করা জমির চার পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মান করছেন। ঐ স্থান দিয়ে বর্সার মৌসুমে রাউজান ফকির হাট বাজার, সাপলঙ্গা, সাহানগর, গণী হাজী পাড়া, এলাকার পানি প্রবাহিত হয় । ঐ স্থানে রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ ফকির হাট বাজারের পুর্ব পাশে রাউজান থানা রোডের উপর নির্মান করা ব্রীজ থেকে রাউজান উপজেলা প্রাণী সম্পাদ অফিস পর্যন্ত ভরাট হয়ে যাওয়া পানি চলাচলের খাল খনন করেন। প্রবাসী নুরুল আলম খনন করা খালের উপর দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মান করছে । কৃষি জমি ,মাটি ভরাট করে পানি চলাচলের পথ বন্দ্ব করে খালের উপর সীমানা প্রাচীর নির্মান করায় বর্ষার মৌসুমে পানি চলাচলের প্রবাহ বন্দ্ব হয়ে জলবদ্বতা সৃষ্টি হয়ে জনদুভোর্গ সৃষ্টি হওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে । কৃষি জমি ভরাট করে পানি চলাচলের পথ বন্দ্ব খাল দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মান করা প্রসঙ্গে প্রবাসী নুরুল আলমের কাছে কয়েত দফে মোবাইল ফোনে ফোন করলে ও মোবাইল ফোন বন্দ্ব থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি । এব্যাপারে রাউজান পৌরসভার ৮ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এডভোকেট দিলিপ কুমার চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে, পৌর কাউন্সিলর এডভোকেট দিলিপ কুমার চৌধুরী বলেন, আমি ঐ স্থানে গিয়ে পরিদর্শন করে রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভ্জেকে অবহিত করবো । এ ব্যাপাওে রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, আমি সরজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবো ।