প্রদীপের দুর্নীতি মামলায় আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে দুইজন সাব রেজিস্ট্রারের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ নিয়ে ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। আগামী ১৯ এপ্রিল পরবর্তী দিন সাক্ষীর জন্য রেখেছেন আদালত।

সাক্ষীরা হলেন- কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সদর সার্কেলের তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রার শাহ আশরাফ উদ্দীন ও জাহাঙ্গীর আলম।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের ও চট্টগ্রাম সদর সার্কেলের ২ জন সাব-রেজিস্ট্রার আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। কক্সবাজারে রেজিস্ট্রি হয়েছে একটা দলিল এবং চট্টগ্রাম সদর সার্কেলে একটা দানপত্র ও বায়নানামা হয়েছে, যার সার্টিফাইড কপি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই ২ জনসহ প্রদীপের বিরুদ্ধে মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। এ সময় প্রদীপ কুমার দাশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ১৯ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

প্রদীপের আইনজীবী রতন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, প্রদীপের বিরুদ্ধে দুই সাব-রেজিস্ট্রার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষ থেকে ২ জনকেই জেরা করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জ গঠন হয়। গত ২৬ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়।

গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন। ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।