বাংলাদেশর অবস্থা কখনো শ্রীলঙ্কা মতো হবে না-ভূমিমন্ত্রী

বাংলাদেশের পরিস্থিতি কখনো শ্রীলঙ্কার মতো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। শ্রীলঙ্কার সরকারের হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে আজ দেশটির এই অবস্থা বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ শনিবার নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে চন্দনাইশ সমিতি-চট্টগ্রাম আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যদান কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, শ্রীলঙ্কা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। হঠাৎ করে সে দেশের সরকার অর্গানিক চাল উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। সাথে সাথে সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যায়। সার ব্যবহার না করে অর্গানিক চাল উৎপাদনে মনোযোগী হয়। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের কারণে আজ তাদের ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের চাল আমদানি করছে। আজ তাদের সেই টাকাও নেই। বাংলাদেশ তাদের টাকা ঋণ দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীব্যাপি পণ্যের দাম বেড়েছে। যে সমস্ত জায়গায় পণ্যের উৎপাদন হতো সেখানে করোনায় অনেক মানুষ মারা গেছে। করোনার ধাক্কা গেছে, সামনে যুদ্ধের ধাক্কা আসবে। আমেরিকাতে পর্যন্ত পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশ্বব্যাপি যে দাম বাড়ছে সেটার প্রভাব আমাদের এখানেও পড়ছে। চন্দনাইশের মানুষের আস্থা আছে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে চন্দনাইশ সমিতি-চট্টগ্রাম কাজ করে যাচ্ছে। চন্দনাইশবাসীর জন্য ভাল কিছু যেন হয় সে কামনা করছি। ইফতার মাহফিলে দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষ দেখছি। চন্দনাইশ সমিতির আদলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম সমিতি করা যেতে পারে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রত্যেক উপজেলার সবাইকে নিয়ে এ সমিতি করলে ভাল হয়। চন্দনাইশ সমিতিকে হাসপাতাল করার জন্য ভূমি সহায়তার কথা জানিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, করোনায় দুই বছরে মৃত্যু ঝুঁকিতে আমরা আপনজনদের দেখার সহাসও হারিয়ে ফেলেছিলাম। যুগে যুগে যে সমস্ত মহামারী এসেছিল সেগুলো চারবছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক পদক্ষেপে করোনার ধাক্কা অল্প সময়ে সামলানো সম্ভব হয়েছে। ঠিকার কারণে মানুষ এখন চলাফেরা করতে পারছে। প্রায় মানুষ ঠিকার আওতায় এসেছে। চন্দনাইশ সমিতি-চট্টগ্রামের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন চন্দনাইশ সমিতি-চট্টগ্রাম ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম, সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ডা. শাহাদাৎ হোসেন, একরাম হোসেন, সাবেক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কবি অভিক ওসমান, সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান, আরশাদ আলম, আবদুর রহিম, নজরুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস, জামসেদ চৌধুরী, আ ন ম হাসান চৌধুরী, মো. মুন্না সহ আরও অনেকে।