ইউক্রেনকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে রাশিয়া

ইউক্রেনে একের পর এক শহরে হামলা চালিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করলেন, বুচার চেয়েও ইউক্রেনের অন্যান্য কয়েকটি শহরে ভয়াবহ দৃশ্য অপেক্ষা করছে।

সোমবার এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বুচার মতো বোরোডিয়াঙ্কা এবং অন্যান্য শহরগুলোর মানুষ কীভাবে অত্যাচারিত হয়েছেন তার যাবতীয় তথ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে আনতে চাই আমরা। এজন্য আমরা এসব এলাকায় সাংবাদিকের সর্বোচ্চ অবাধ যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছি। আমরা চাই, সাংবাদিকরা এই সব শহরে আসুক। গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দিক রাশিয়া আমাদের প্রিয় ইউক্রেনের কী অবস্থা করেছে।

তিনি দাবি করেন, ওই শহরগুলোতে অত্যাচারিত এবং নিহত সাধারণ নাগরিকের সংখ্যা বুচার থেকে কয়েক গুণ বেশি। এই এলাকাগুলোতে রুশ বাহিনী যেভাবে নৃশংসতা চালিয়েছে, তা ৮০ বছর আগের নাৎসি অত্যাচারের সময় দেখা যায়নি।

রোববার ইউক্রেনের বুচা শহরে সংঘটিত নৃশংসতা ও ভয়াবহতা প্রকাশ্যে আসে। একের পর এক গণকবর, তিন শতাধিক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু, মৃত নারীদের শরীরে পোড়া চিহ্নের দাগ এমনকি ১০ বছরের বালিকার ওপর নৃশংস নির্যাতন ও অত্যাচারের চিহ্ণও স্পষ্ট, যা দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে।

তবে একইসঙ্গে জেলেনস্কির আশঙ্কা, রাশিয়া তাদের সর্বশক্তি দিয়ে এই সমস্ত অত্যাচারের চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করতে পারে। এমনকি তারা তথ্য বিকৃতও করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন। এর কয়েক মিনিট পরই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা পাশের তিনটি দেশে শরণার্থী হয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।