অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

এর আগে একই আদালতে একই মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে একাধিক জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। একই মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ চার্জ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করার কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছিল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ৭ এপ্রিল পরবর্তী দিন সাক্ষীর জন্য রেখেছেন আদালত। এ সময় প্রদীপ কুমার দাশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ওসি প্রদীপের আইনজীবী রতন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে তিন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনজনকেই জেরা করা হয়েছে। আগামী ৭ এপ্রিল পরবর্তী মামলার তারিখ দিয়েছেন আদালত। তারিখটা দ্রুত হয়ে গেছে, আমাদের প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জ গঠন হয়। গত ২৬ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়। গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।