দিনব্যাপী কর্মসূচিতে ২৯ এপ্রিলকে স্মরণ করলো চট্টগ্রাম সুহৃদ

আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার চট্টগ্রাম সুহৃদের উদ্যেগে দিনব্যাপী কর্মসূচিতে ১৯৯১সালের ভয়াল ২৯ এপ্রিলকে স্মরণ।
পতেঙ্গা সী-বিচ সংলগ্ন হাফেজ মোবারক আলী শাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজনের মাধ্যমে ২৯ এপ্রিলকে স্মরণ করলো চট্টগ্রাম সুহৃদ। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো আলোচনা সভা, সচেতনতা মূলক সেমিনার, মিলাদ, পরিবেশ বিষয়ক কবিতা ছড়া আবৃত্তি, দূর্যোগ শিরোনামে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা ও দোয়া মাহফিল। কর্মসূচির মিডিয়া পার্টনার ছিলো নিউজ চট্টগ্রাম ও দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রাম, স্থানীয় সহযোগী হিসেবে ছিলো যুব সাহিত্য ফোরাম চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম সুহৃদের সভাপতি ও দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রামের নির্বাহি সম্পাদক মির্জা ইমতিয়াজ শহীদের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। যুব সাহিত্য ফোরামের সভাপতি বাবুল হেসেন বাবলার পরিচালনায় ও হাফেজ মোবারক আলী শাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ওয়াহিদুল আলম মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন সাংবাদিক নেতা খোরশেদুল আলম শামিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ এস এম দিদারুল আলম, হাফেজ মোবারক আলী শাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক নুরুল গনি, চট্টগ্রাম সুহৃদের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী শাদ ইরশাদ। বক্তব্য রাখেন ওমর ফারুক জয়, মোস্তাফিজুর রহমান, লিও ইসরাত জাহান, জাকির হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এদিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত এবং এক কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়।
নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরণকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ৯১-এর এই ঘূর্ণিঝড় একটি। ৯১-এর এই ভয়াল ঘটনা এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় উপকূলবাসীকে। ঘটনার এত বছর পরও স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না সেই দুঃসহ দিনটি। গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায় জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের কথা মনে হলে। নিহতদের লাশ, স্বজন হারানোদের আর্তচিৎকার আর বিলাপ বার বার ফিরে আসে তাদের জীবনে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে একটি দক্ষ জনশক্তি ও স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তুলতে সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহায়তা খুবই জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ যুবক গড়ে তুলতে এবং ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
‘আমরা দুর্যোগ প্রতিরোধ করতে পারব না। তবে আমাদের দূরদর্শী কাজের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করতে পারি। বাংলাদেশে আমরা ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে প্রশমন কর্মসূচির উপর গুরুত্বারোপ করেছি।