রোহিঙ্গাদের গণহত্যা সংক্রান্ত বাইডেন প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিকে স্বাগত জানাল ওপেন সোসাইটি

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত করেছে। বিলম্বিত হলেও বাইডেন প্রশাসন এই জেনোসাইডকে অবশেষে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে লক্ষ্যবস্তু করে যে নৃশংস অপরাধ সংঘটিত করা হয়েছিল তার জেরে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের ৯ লক্ষ মানুষ সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। মার্কিন সরকারের এই স্বীকৃতি অনেক বিশ্বাসযোগ্য সংস্থা এবং মিডিয়া আউটলেটের তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যারা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ভয়াবহ অপরাধের প্রমান নথিভুক্ত করেছে।

এই গুরুতর অপরাধের জন্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যাতে প্রকৃত ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার মুখে পড়ে সেই বিষয়টি মার্কিন সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সেইসাথে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে সংঘটিত নৃশংসতাগুলিকেও ভুলে গেলে চলবে না। রোহিঙ্গা গণহত্যার পাঁচ বছর পরেও, জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য ও নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। যতক্ষণ না তারা কোনো স্থায়ী পরিণতির দিকে এগোচ্ছেন ততক্ষন এই সমস্যার সমাধান হবে না।

সারা বিশ্বে আমরা অনেক সরকার এবং কর্তৃপক্ষকে নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্য, নিপীড়ন এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিচ্ছিন্ন করার কাজে নিয়োজিত হতে দেখতে পাই। এটি প্রায়শই গণহত্যা সহ আরও গুরুতর নৃশংসতার দিকে তাদের প্ররোচিত করে। এদের সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যা যা করা দরকার তা করতে হবে।