রমজান মাসকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সুযোগ নিতে না পারে

ভূতর্কীমূল্যে টিসিবির পণ্য বিতরণকালে মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আজ থেকে এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে সাশ্রয়ীমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু হলো। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলরের মাধ্যমে নগরীতে তিন লাখ পরিবারের মাঝে এই পণ্য বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে সুশৃঙ্খলভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের সুবিধার্থে সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর তালিকা তৈরী করে বিশেষ ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করা হয়েছে। প্রথম কিস্তি বিক্রয় করা হবে ২০-৩০মার্চ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় কিস্তি বিক্রয় করা হবে ৩-২০এপ্রিল পর্যন্ত। তিনি বলেন, রমজান মাস সংযমের মাস, সকলকে সংযম প্রদর্শন করতে হবে। সরকার সকল পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আশাকরি মানুষ এর সুফল পাবে। তিনি একসাথে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করা থেকে বিরত থাকতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। আজ রোববার সকালে শুলকবহর ওয়ার্ডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ভূতর্কী মূল্যে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়ের কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
শুলকবহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসি, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ সরওয়ার্দী, ৪৩নং সাংগঠনিক ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম.এ তাহের প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে শংকিত হবার কারণ নেই। আমাদের সরকারের কাছে প্রচুর পণ্য মজুদ আছে। আমাদের সরকার সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করবেন। জ্বালানি তেলের দাম কমে আসায় আন্তর্জাতিক বাজারে সবধরণের ভোগ্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে রোজার আগে হুড়োহুড়ি করে পন্য কেনার প্রতিযোগিতার কারণে এক ধরণের অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে এই সুযোগ নিতে না পারে এব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে অনেক দেশ আমাদের তাচ্ছিল্য করে বলেছিলো যে কোভিড সংক্রমিত হয়ে আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ লোক মারা যাবে। কিন্তু কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আমাদের নেত্রী যে দূরদর্শী পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে সংক্রমণ মোকাবেলা করা সম্ভব হয়ে উঠেছে। শুধু তা নয় ভ্যাক্সিন সংগ্রহেও আমরা উন্নত দেশকে ছাড়িয়ে গেছি। সুতরাং দ্রব্য মূল্য বাড়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মূল বৃদ্ধির সমস্যাও মোকাবেলা করতে সক্ষম হওয়া যাবে বলে তিনি জোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে নগরবাসীকে আন্তরিক হতে হবে ওয়ার্ল্ডভিশন কর্তৃক প্রদত্ত রিক্সাভ্যান গ্রহণকালে মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলার মধ্যে আনা গেলে চট্টগ্রাম নগরী অনন্য সুন্দর নগরী হিসেবে দৃশ্যমান হবে। নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে নগরবাসীকে আন্তরিক হতে হবে এবং দায়িত্ব নিতে হবে। এর মধ্যদিয়ে আমরা সবাই প্রশংসিত হবো। ওয়ার্ল্ড ভিশন’র মত প্রতিষ্ঠান এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য যে ধরণের সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিকার অর্থে প্রশংসাযোগ্য। আজ রোববার বিকেলে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে সম্মেলন কক্ষে ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্তৃক প্রদত্ত রিক্সাভ্যান গ্রহণকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ওয়ার্ল্ডভিশন’র সিনিয়র ম্যানেজার স্টিফেন রুবেল হালদার, কর্ণফুলী আরবান প্রোগ্রাম টেকনিক্যাল কো-অডিনেটর শ্যামল ফ্রান্সিস রোজারিও, হেলথ স্পেশালিষ্ট ডা. মাহমুদুল হক, প্রোগ্রাম অফিসার ক্রীস্টফার কুইয়্যা সুব্রত মল্লিক, উইলিয়াম গোমেজ।
মেয়র আরো বলেন, নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। এই সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী প্রায় সাড়ে ৬হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এই মেগা প্রকল্প তখনই সফল হবে যখন নগরীতে যত্রতত্র ময়লা ফেলা এবং পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা যাবে। তিনি ওয়ার্ল্ড ভিশনের মতো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এধরণের সহায়তা করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান