‘একোয়াকালচার ইন্ডাস্ট্রিতে লাইভ ফিড হিসেবে জলজ উদ্ভিদের ব্যবহার’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের ইনসেপশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ^বিদ্যালয়ের (সিভাসু) কক্সবাজারস্থ আউটরীচ ক্যাম্পাসে ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চল থেকে দেশজ মাইক্রোঅ্যালজী (অতি ক্ষুদ্র জলজ উদ্ভিদ) শনাক্তকরণ ও পৃথককরণ এবং একোয়াকালচার ইন্ডাস্ট্রিতে লাইভ ফিড হিসেবে-এর ব্যবহার’ (ওংড়ষধঃরড়হ ধহফ রফবহঃরভরপধঃরড়হ ড়ভ রহফরমবহড়ঁং সরপৎড়ধষমধব ভৎড়স ফরভভবৎবহঃ পড়ধংঃধষ ৎবমরড়হং ড়ভ ইধহমষধফবংয ধহফ রঃং ঁঃরষরুধঃরড়হ ধং ষরাব ভববফ ভড়ৎ ধয়ঁধপঁষঃঁৎব রহফঁংঃৎু) শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের ইনসেপশন ওয়ার্কশপ (সূচনা কর্মশালা) অনুষ্ঠিত হয়।
গত মঙ্গলবার (০৮.০৩.২০২২) বিকেলে সিভাসু’র কক্সবাজারস্থ কোস্টাল বায়োডাইভার্সিটি, মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র একুশে পদকপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ^াস। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভাসু’র ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং কেজিএফের পরিচালক (লাইভস্টক অ্যান্ড ফিশারিজ) ড. নাথু রাম সরকার। সভাপতিত্ব করেন সিভাসু’র পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ^াস। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেজিএফের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (ফিশারিজ) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। প্রকল্পের বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক এবং সিভাসু’র একোয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. হেলেনা খাতুন।
প্রকল্পটিকে খুব ভালো প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করে কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এটি বাস্তবায়িত হলে মৎস্যখামারিরা উপকৃত হবে, দেশ উপকৃত হবে। কর্মশালায় বক্তারা নীড-বেইস্ড গবেষণার ওপর জোর দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, জ্ঞানসৃষ্টির জন্য প্রয়োজন গবেষণার। জ্ঞানসৃষ্টি করতে পারলেই আমরা শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। দেশকে উন্নত করতে হলে বেশী বেশী গবেষণা করতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
কেজিএফের অর্থায়নে তিন বছরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সিভাসু। কর্মশালায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য অধিদপ্তর এবং স্থানীয় বিভিন্ন হ্যাচারির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।