একুশে বইমেলায় হাসিনা মহিউদ্দিন
চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, বাঙালি নারীর অগ্রগতির বড় ধাপ ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়া। তাদের এ সক্রিয় অংশগ্রহণ একটি সচেতন প্রয়াস। নারী ভাষা সংগ্রামীদের নাম ও তাদের অবদান নিয়ে ইতিহাসে খুব কম আলোচিত হয়েছে। ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস সঠিকভাবে জানা ও তা নতুন প্রজন্মকে জানানো আজ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তা যদি আমরা করতে পারি তবেই আগামী প্রজন্ম তাদের মা-বোনেদের কীর্তিগাঁথা শুনে গৌরবান্বিত হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগীতায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বই মেলায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের ফলে নারী উন্নয়ন আজ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় তৃণমূলপর্যায়ের নারীদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এতে দারিদ্র্যতা হ্রাস পাচ্ছে। হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আফরোজা কালামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অমর একুশে বইমেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। প্রধান আলোচক সাবেক এমপি ঢাকা উত্তর মহিলা যুবলীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন। আলোচক বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার ও সাংবাদিক ডেইজি মওদুদ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সাবিনা আক্তার তুহিন বলেন, সভ্যতার গোড়াাপত্তন ও তার ক্রমবিকাশে নারীর ভূমিকা পুরুষের চেয়ে কম নয়। ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ প্রকৃত অর্থেই ছিল জনযুদ্ধ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই–ই সর্বাত্মক এই যুদ্ধে শামিল হয়েছিল সমানভাবে। নারীরা ধর্ষিত বা অত্যাচারিত হয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এটা যেমন বড় হয়ে উঠেছে, তার চেয়েও বড় সত্য মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নারীসমাজ লড়াই করেছে, অথচ আফসোসের সঙ্গে বলতে হয়, মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানের সঠিক মূল্যায়ন আজও হয়নি। এই অতিমারি দেখিয়েছে নারী নেতৃত্ব কতটা ইতিবাচক। করোনা অতিমারির সঙ্গে মানব সভ্যতার যুদ্ধে তারাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল লক্ষ্যই হলো নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজের অগ্রগতি সাধন। তাই নারী ও পুরুষ সমান মর্যাদা ও অধিকার পেলেই আন্তর্জাতিক নারী দিবস যথাযথ মর্যাদা পাবে, অর্জিত হবে নারী দিবসের অভিষ্ঠ লক্ষ।
সভাপতির বক্তব্যে প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মধ্য দিয়ে নারীত্বের উৎসব পালিত হয়। জাতি, ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে নারীদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি জানানো এবং নারীদের সমান অধিকারের লড়াই জোরদার করা এই দিনটি পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য। তাই আসুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় বিনির্মাণ করি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।











