শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা যায় তাহলে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব

ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও ল্যাব অ্যাইড লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ক্লাবের এস রহমান হলে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস বলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বর্তমান কমিটি ক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

ল্যাব অ্যাইড কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান জানিয়ে তিনি আশা করেন, আগামী দিনেও সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

ল্যাব অ্যাইড হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতার লিপি বলেছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ৬৭৮ মনে রাখতে হবে। খাদ্য গ্রহণের আগে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ৬, খাদ্য গ্রহণের পর ৮ এবং এইচবিএওয়ানসি ৭ মিলিমোল/লি. এই হার থাকলে তাহলে ঠিক আছে ধরে নেওয়া যায়। ডায়াবেটিস আজীবনের একটি রোগ। তবে সঠিক ব্যবস্থা নিলে এ রোগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

রুটিন করে দৈনিক ৫ বার শরীরের প্রয়োজনমতো এবং পরিমিত খাবার গ্রহণেরও পরামর্শ দেন তিনি।

ল্যাব অ্যাইড লিমিটেডের সিইও ডা. শামীম আহমেদ সেলিম খান বলেছেন, জীবন ধারণ পদ্ধতি যদি শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা যায় তাহলে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।

চিকিৎসার নানা ক্ষেত্রে আগামীতেও ল্যাব অ্যাইড সাংবাদিকদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন।

স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, ল্যাব অ্যাইডের সিইও ডা. শামীম আহমেদ সেলিম খান এবং ডেপুটি ম্যানেজার কিশোর কান্তি দাশ প্রমুখ।

এ সময় প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি স ম ইব্রাহীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য দেবদুলাল ভৌমিক, মনজুর কাদের মনজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে ডায়াবেটিসের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতার লিপি। এরপর ডায়াবেটিস বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এর আগে ল্যাব অ্যাইডের পক্ষ থেকে প্রায় দেড় শতাধিক সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পরীক্ষা এবং পুষ্টি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।