বড় আইনজীবী হয়েও নুরুচ্ছফা তালুকদারের মধ্যে অহমিকা ছিল না

স্মরণ সভায় চসিক মেয়র 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মরহুম এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার ছিলেন একজন অমায়িক, সজ্জন ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। এতবড় আইনজীবী হয়েও উনার মধ্যে কখনো অহমিকা ছিল না। যার ফলে মৃত্যুর পরও আজকে আমাদেরকে অকৃপনচিত্তে তাঁকে স্মরণ করতে হচ্ছে। তাঁর কীর্তিগুলো থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আমরাও যদি নুরুচ্ছফা তালুকদারের মত মানুষদের পথ ধরি তাহলে আমাদেরও সেই ধরণের কীর্তিমান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর পিতা মরহুম এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে মরহুমের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার স্মৃতি সংসদ স্মরণসভার আয়োজন করে। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের সদস্য সচিব এডভোকেট নিখিল কুমার নাথের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট মুজিবুল হক, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি চন্দন দাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়া উদ্দিন, আবদুর রশিদ, অশোক কুমার দাশ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এইচএম জিয়া উদ্দিন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার। সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নিজ নিজ পেশায় শত ব্যস্ততার মাঝেও আমরা দুনিয়ায় এসেছি মানুষকে কিছু দেয়ার জন্য, কিছু গড়ার জন্য। একটু খ্যাতি অর্জন করলে অনেক সময় আমরা নিজেকে অনেক কিছু মনে করি, মনে করি আমিই সবকিছু বুঝি, আমার চেয়ে কেউ বেশি বুঝে না, আমিই সর্বেসর্বা। আমাদের মধ্যে আত্মঅহমিকা এসে যায়। এটাই মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। এটা করতে গিয়ে অনেক সময় অপমানিত হতে হয়। এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের মাঝে এ ধরণের অহমিকা ছিল না বলেই তিনি আজ আমাদের কাছে কীর্তিমান। তিনি বলেন, যারা সমাজে কিছুটা অবদান রেখে যান আমরা তাদেরকে স্মরণ করি। কারণ এই স্মরণসভায় তার আদর্শ নীতি-নৈতিকতা আচার-আচরণগুলো নিয়েই আমরা আলোচনা করি। এটা থেকেই আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি। অনেক সময় আমরা আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা থেকে কিছুটা বিচ্যুত হই। বিচ্যুত হবার কারণেই আমরা অনেকে বিপদগ্রস্ত হই। যাতে বিপদগ্রস্ত না হই এজন্য আমরা বরণীয় ব্যক্তিদের স্মরণের মাধ্যমে চেতনাকে শাণিত করি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আসলাম খাঁন, এডভোকেট এম এ নাছের চৌধুরী, চন্দন তালুকদার, হুমায়ুন রশিদ রুবেল, রবিউল আলম, কাজী একতিয়ার উদ্দিন, সুভাষ বড়ুয়া, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল রাসু প্রমুখ