চলছে কৃষি জমি ভরাট

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলার ৭নং রাউজান ইউনিয়নের হরিশখান পাড়া এলাকায় আলহাজ্ব মোহাম্মদুল হক প্রকাশ হক সাহেবের মালিকাধীূন কৃষি জমি রাতেই জোরপুর্বক রাউজানের পাহাড়ী এলাকা থেকে ড্রামট্রাক ভর্তি করে মাটি এনে ভরাট করা হয়েছে । জমির মালিক আলহাজ্ব মোহাম্মদুল হক প্রকাশ হক সাহেবের পুত্র সংবাদ পেয়ে গতকাল ১৫ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর বাসা থেকে এসে তাদের মালিকাধীন ফসলী জমি মাটি ভরাট করার দৃশ্য দেখতে পেয়ে হতবাক হয়ে পড়েন । গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার পৈতৃক ফসলী জমিতে চাষাবাদ হয় । ফসলী জমি বর্গা দিয়েছি । বর্গা জমি নিয়ে কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ করেন । আমার পৈতৃক ফসলী জমি আমার পরিবারের কাউকে না জনিয়ে আমার প্রতিবেশী মাহাবুল আলম, ও নেজাম সহ তার ভাইয়েরা রাতেই পাহাড়ী এলঅকা থেকে পাহাড় কাটা মাটি ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে এনে ভরাট করছে । ফসলী জমিতে মাটি ভরাটকারী মাহবুল আলমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মাহবুল আলম বলেন, জমির মালিক আলহাজ্ব মোহাম্মদুল হক প্রকাশ হক সাহেব আমার চাচা হয় । আমার চাচাকে বরার পর আমার চাচা সম্মতি দেওয়ায় তার মালিকানাধীন ফসলী জমিতে মাটি ভরাট করে আমাদের নতুন বসতঘরে যাওয়ার রাস্তা নির্মান করছি । কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করার বিষয়ে অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে, মাহাবুল আলম বলেন কোন অনুমতি নেয়নি । এ ব্যাপারে স্থানীয় ইইপ মেম্বার মোজ্জামেল হক খোকনের কাছে জানতে চাইলে মোজাম্মল হক খোকন বলেন, কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করার বিষয়ে সংবাদ পেয়ে ৭নং রাউজানের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরুকে অবগত করি। পরবর্তী চেয়ারম্যানের নির্দেশে কৃষি জমিতে মাটি ভরাটের কাজ ব›দ্ব করে দেওয়া হয় । অপরদিকে রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ঢেউয়াপাড়া পশ্চিম শরীফ পাড়া এলাকায় জৈনক আবদুল ছালামের কাছ থেকে ক্রয় করে কৃষি জমি রাউজান পৌরসভার সাহানগর এলাকার ইলিয়াছ নামের এক ব্যক্তি মাটি ভরাট করছে । ঢেউয়া পাড়া এলাকায় কৃষি জমির মাটি ভরাট কাজে রাউজানের পাহাড়ী এলাকার পাহাড় কাটা মাটি ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে এনে কৃষি জমি মাটি ভরাট করা হচ্ছে। কৃষি জমি মাটি ভরাটকারী ইলিয়াছের কাছে ফোন করে জানতে চাইলে, ইলিয়াছ বলেন, কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করার কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। কৃষি জমিতে মাটি ভরাট কাজ রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর এডভোকেট দিলিপ কুমার চৌধুরী এসে দেখে গেছেন । এ ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর এডভোকেট দিলিপ কুমার চৌধুরীকে ফোন করে জানতে চাইলে, এডভোকেট দিলিপ কুমার চৌধুরী বলেন, ঐটা কৃষি জমি নয় । ঐ জমি পরিত্যক্ত ভিটা ভুমি ।