চবিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত

মহাকালের মহানায়ক স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস (১০ জানুয়ারি) উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি ২০২২ সকাল ১০:০০ টায় চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যার্তন দিবস উপলক্ষে চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি সিনেট সদস্য ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর এ বি এম আবু নোমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চবির সভাপতি চবি মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রাশেদ-উন-নবী, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মোঃ এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক জনাব মনজুরুল আলম ও চবি অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব মুহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশলক্ষ শহীদ ও ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবর্গের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত দু’লক্ষ জায়া, জননী, কন্যার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ নয়মাস পাকিস্তানের কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি থেকেও পাকিন্তানি স্বৈরাচারী সরকারের কাছে মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিনিময়ে নিজের মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলেন। অবশেষে তাঁর স্বপ্নের সোনারবাংলা স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীনতাকামী বাঙালি ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপের মুখে পাকিস্তানের জান্তা সরকার বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। জাতির পিতার এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে পূর্ণতা পায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। মাননীয় উপাচার্য মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধিতে সকলকে কাঙ্খিত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
চবি প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনার পরিচালক, অফিস প্রধানবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।