জ্ঞান-বিজ্ঞানে, সৌরভে-গৌরবে চবিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই

<strong>বিদায়ী ও নবাগত শিক্ষকদের ‘সম্মাননা ও সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে’ চবি উপাচার্য</strong>

চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে সম্প্রতি অবসরগ্রহণকারী শিক্ষকদের সম্মাননা এবং নবাগত শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ২৮ এপ্রিল ২০২৪ বেলা ১১:৩০ টায় চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্যদ্বয়। চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ, চবি জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ তৌহিদ হোসেন এবং চবি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রাশেদ মোস্তফা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য প্রফেসর ড. লায়লা খালেদা (আঁখি) ও চবি অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তন্ময়ী হাসান।

মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত অবসরগ্রহণকারী শিক্ষকবৃন্দ ও নবাগত শিক্ষকদের শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “এ বিশ^বিদ্যালয়ের বরিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ তাঁদের নিরবচ্ছিন্ন জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে দক্ষ, যোগ্য ও আলোকিত মানবসম্পদ উৎপাদনে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়াও পেশাগত জীবনে প্রশাসনিক কর্মকাÐে তাঁদের মেধা, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন যা অনস্বীকার্য।” মাননীয় উপাচার্য সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ অবসরের পরেও তাঁদের মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত উম্মুক্ত রেখে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বির্নিমাণের লক্ষ্যে স্মার্ট মানবসম্পদ তৈরীতে দেশ-জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখার আহবান জানান। তিনি অবসরে যাওয়া শিক্ষকবৃন্দের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও কল্যাণ কামনা করেন। মাননীয় উপাচার্য নবীন শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা। এ পেশায় যেমন রয়েছে সম্মান তেমনি রয়েছে দায়বদ্ধতাও। নবীন শিক্ষকরা এ মহৎ পেশাকে নিছক পেশা হিসেবে না নিয়ে নেশা হিসেবে গ্রহণ করে দেশ-জাতির কল্যাণে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।” শিক্ষা-দীক্ষায়, গবেষণায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, সৌরভে-গৌরবে এ বিশ^বিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে মাননীয় উপাচার্য প্রত্যেককে নিজ নিজ দ্বায়িত্ব অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পালনের উদাত্ত আহবান জানান। সম্মাননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য অবসরগ্রহণকারী শিক্ষকদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং ফুলেল শুভেচ্ছাসহ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

অনুভূতি ব্যক্ত করে সংবর্ধিত অবসরগ্রহণকারী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের প্রফেসর ড. মোঃ এম মারুফ হোসেন, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া, রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায়, গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ও ইংরেজী বিভাগের প্রফেসর মাইনুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক মোঃ কবির হোসেন। বিদায়ী ও নবাগত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কবিতা পাঠ করেন চবি পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফজলে এলাহী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেন চবি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিনহাজুর রহমান, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন সংস্কৃত বিভাগের প্রভাষক হিমেল কর্মকার ও পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে চবি সংগীত বিভাগের শিক্ষকদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে চবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৩ এর নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, হলের প্রভোষ্টবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সদস্যবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।