প্রতীক বরাদ্দ না নিয়ে প্রচারণা, জরিমানা গুণলেন আ.লীগের প্রার্থী !

 বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শামসুল হক প্রতীক বরাদ্দ না নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোয় অর্থ জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আকতার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এ অর্থদ- দেন। এছাড়া মোটর সাইকেলের শোডাউন দেওয়ায় উপজেলার করলডেঙ্গা ইউপির আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনসুর আহাম্মদ বাবুলকে ও দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর দায়ে সারোয়াতলী ইউনিয়নের দুই সাধারণ সদস্য প্রার্থীকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আকতার বলেন, চরণদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী শামসুল আলমকে প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণা করায়, আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনছুর আহাম্মদ বাবুল মোটর সাইকেল শোডাউন করায় ও সারোয়াতলীতে দুই সাধারণ সদস্য প্রার্থীকে দেওয়ালে পোস্টার সাঁটানোর দায়ে ২৩হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে সাংসদকে নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন চিঠি দিলেও তা উপেক্ষা করে নিজ এলাকায় অবস্থান করেছেন চট্টগ্রাম ৮ আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ। তিনি চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৮ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল লতিফের বাড়ীতে এক বৈঠকে অংশ নেন। পরে সাড়ে ১১ টার দিকে সাংসদ উপজেলা সদরের গোমদন্ডী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে হল রুমে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন। বিকেলে তিনি উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলার সমাপনীতে বক্তব্য রাখেন। গত ২৫ ডিসেম্বর শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সাংসদকে অবিলম্বে এলাকা ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এর আগে সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ আচরণ বিধি না মেনে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর ব্যানারে উপজেলার পোপাদিয়া, শাকপুরা, কড়লডেঙ্গা, আমুচিয়া ও সারোয়াতলীতে ইউপি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। এতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এলাকা ত্যাগ করার জন্য ইসির নির্দেশনার চিঠি তাঁর কাছে গত শনিবার পৌঁছানো হয়েছে। এরপরও সাংসদের এলাকায় অবস্থান নেওয়া বিধি পরিপন্থি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে।