বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু দুটি অবিচ্ছেদ্য সত্তা

স্বাধীন বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুটি অবিচ্ছেদ্য সত্তা। ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির বিজয় অর্জন বিশ্বের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

এ বিজয়ের মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে যদি হারাতে না হতো, তাহলে বাংলাদেশ অনেক আগেই বিশ্বের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো। এত কিছুর পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে।

কোনো অপশক্তি যাতে এর গতি রোধ করতে না পারে এবং বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গুরুত্বপূর্ণ ভবন এবং স্থাপনা সাজানো হয়। ১৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১মিনিটে বিউগল বাজিয়ে ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে বিজয় দিবস উদযাপন শুরু হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৬ ডিসেম্বর ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মসজিদে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান চবি উপাচার্য, বিভিন্ন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।

এরপর বিজয় র‍্যালি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বেলা ১১টায় চবির জারুলতলায় অনুষ্ঠিত হয় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

আলোচনা সভা শেষে চবি সংগীত বিভাগ, উত্তরায়ন, দর্পণ, উদীচী, অঙ্গন, রঁদেভু, নৃত্যনীড়, আবৃত্তিমঞ্চ, লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।