চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টি

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ শক্তি হারিয়ে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর রয়েছে উত্তাল।

ফলে চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতেও নামছে বৃষ্টি। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলোতে যানবাহন সংকট ও রাস্তাগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অফিসগামী ও সাধারণ মানুষকে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদ-নদীগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট বেশি বেড়ে গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস থাকায় বেড়েছে ঠাণ্ডা। গত রোববার থেকে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি নামছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে দেশের বেশির ভাগ এলাকার আকাশ পরিষ্কার হতে থাকবে। ফলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে ঠাণ্ডা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস থেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বুলেটিনে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাব থাকবে মঙ্গলবার পর্যন্তও। এই দুইদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। ‘জাওয়াদ’ ধীরে ধীরে আরও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা লঘুচাপ আকারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলের কাছে দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশকিছু স্থানে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের পথে যাতায়াতকারী সব জাহাজ চলাচল রোববার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের টানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। স্থলভাগে ওঠার আগেই দুর্বল হয়ে পড়বে এটি । এ মাসেই আরেকটি নিম্নচাপ আসতে পারে, তবে এর সময় কবে হবে, তা বলা যাচ্ছে না।