জানুয়ারিতে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্লার্টফর্ম চালু

আর্থিক লেনদেনে খরচ ও হয়রানি রোধে আগামী জানুয়ারিতে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্লার্টফর্ম চালু করা হবে।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং ফর আনন্দমেলা প্ল্যাটফর্ম ইউজার্স ইন বাংলাদেশ কিকঅফ ওয়ার্কশপ এর দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে বিডব্লিউসিসিআই এর সভাপতি সংসদ সদস্য সেলিমা আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ইনকোমিস্ট নাজনীন আহমেদ।পলক বলেন, অনলাইন ব্যাংকিং, ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফার, এটিএম কার্ড ব্যবহার দেশে ই-কমার্সেরও ব্যাপক প্রসার ঘটাচ্ছে। ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ই-কমার্সের আকার ছিল ৮হাজার ৫শ’ কোটি টাকা, যা করোনা মহামারিতে দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ দেশীয় ই-কমার্সের বাজার ২৫ হাজার কোটিতে পৌঁছাতে পারে। ওয়েবসাইট ডেভেলপ ও মার্কেটিং করার লক্ষ্যে দেশের ২ হাজার ছোট ছোট নারী উদ্যোক্তাদেরকে অফেরতযোগ্য ৫০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে। তিনি আরও বলেন,স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে বর্তমানে দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। হাই-টেক পার্কগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ৩ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পার্কগুলোতে ২৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছেডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে উঠছে। ২০১৮ সালেই আইসিটি খাতে রপ্তানী ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সারের আউটসোর্সিং খাত থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। ৩৯টি হাই-টেক/আইটি পার্কের মধ্যে ইতোমধ্যে নির্মিত ৮টিতে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ব্যবসয়াকি কার্যক্রম শুরু করেছে। এরমধ্যে ৫টিতে ১২০টি প্রতিষ্ঠান ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে এবং ১৩ হাজারের অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।