চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থীর জামিন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছয় শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ছাত্রলীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষের সময় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

ছয় শিক্ষার্থী হলেন- উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইয়াসিন আরাফাত, ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের বেলাল হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের অমিত রায়, আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের খালেদ মাসুদ ও সাকিব হাসান এবং সমাজতত্ব বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের সিফাতুল্লাহ।

বুধবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম হেলাল উদ্দিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) বিজন কুমার বড়ুয়া জানিয়েছেন।

এর আগে ২ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয় গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছিল। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয় এবং ৬ জনকে আটক করা হয়।

আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় আদালতে তাদের পরদিন (৩ এপ্রিল) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আটক কর্মীদের মুক্তি ও অস্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রলীগের একাংশ ৭ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার অবরোধের ডাক দেয়।

ওইদিন সকালে শিক্ষার্থীদের বহনকারী শাটল ট্রেন এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবহন আটকে দিয়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি শুরু করে ছাত্রলীগ। এরপর সকাল ১০টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ শুরু করে। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম।

দুপুরের দিকে পুলিশ মূল ফটক খুলতে গেলে ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।

সংঘর্ষের পরদিন ছাত্রলীগ অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে দুইদিনের অচলাবস্থার পর ৯ এপ্রিল থেকে স্বাভাবিক হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি।