হাইড্রোজেন ফুয়েল তৈরির নিয়ে সরকার খুশি

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের (বিসিএসআইআর) হাইড্রোজেন এনার্জি গবেষণাগার স্থাপন-প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

বুধবার (১০ নভেম্বর) প্রকল্প পরিদর্শনকালে দেশে প্রথমবারের মতো বিসিএসআইএরের আমদানি করা হাইড্রোজেন ফুয়েল চালিত ‘টয়োটা মিরাই’ প্রাইভেট কারে চড়েন জ্বালানি উপদেষ্টা।

সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রকল্পে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, হাইড্রোজেনকে যদি আমরা ফুয়েল হিসেবে ব্যবহার করি পাওয়ার প্ল্যান্ট চলতে পারে। আবার হাইড্রোজেন দিয়ে গাড়িও চলতে পারে। এটি এমন একটি ফুয়েল যার কোনো দূষণ নেই। হাইড্রোজেন ভবিষ্যতের ফুয়েল হিসেবে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে। আমরা খুশি হয়েছি, বিসিএসআইআর অন্তত একটি প্রজেক্ট করেছে।

এ সময় বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ কর্মকার, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মো. মাহবুব-উল-আলম এনডিসি, বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ, বিসিএসআইআর চট্টগ্রামের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার এবং পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মোহাম্মদ মোস্তফা, হাইড্রোজেন এনার্জি গবেষণাগার স্থাপন-প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. আবদুস সালাম প্রমুখ।

 

ড. মো. আবদুস সালাম বলেন, বাংলাদেশ ২৫তম দেশ যারা পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে সমাদৃত হাইড্রোজেন ফুয়েল দিয়ে গাড়ি চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বিসিএসআইআর জাপান থেকে হাইড্রোজেনচালিত ‘টয়োটা মিরাই’ গাড়ি কিনে এনেছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় গবেষণার জন্য আনা গাড়িটি আমদানিতে খরচ পড়েছে প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা। আমরা নিজেদের উৎপাদিত হাইড্রোজেন ফুয়েল দিয়ে গাড়িটি চালানো, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি চেষ্টা করছি দেশে যেসব গাড়ি চলছে সেগুলোকে হাইড্রোজেন ফুয়েলে চালানোর মতো প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে রূপান্তরের।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ১ কেজি হাইড্রোফুয়েলে সর্বোচ্চ ১৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ি চলবে। এর বিপরীতে অকটেনে ১ লিটারে যাবে ১০-১২ কিলোমিটার।

তিনি জানান, বর্তমানে বিসিএসআইআরের প্রকল্প ল্যাবে যে প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে তা একবার রান করলে দশমিক ৮৭ কেজি হাইড্রোজেন ফুয়েল তৈরি হয়। এখানে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে দৈনন্দিন বর্জ্য আর উডচিপস (কাঠের গুঁড়া)। পানি থেকেও হাইড্রোফুয়েল উৎপাদনের গবেষণা চলছে। আশাকরছি, আগামী ২০২৩ সালে শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য আমরা হাইড্রোজেন ফুয়েল তৈরির বাণিজ্যিক প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে পারব।