জেলহত্যাকান্ডে শহীদ অমর নায়কদের বীরত্বগাঁথা প্রজন্মকে জানাতে হবে

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনকল্পে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা আর ৩ নভেম্বরে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকান্ড একই সূত্রে গাঁথা। এ হত্যাকান্ড জাতিকে নেতৃত্ব শুন্য করার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের নীলনক্সায় অত্যন্ত পরিকল্পিত। একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে জেলহত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে এর নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে জাতির সামনে প্রকাশ করা একান্ত প্রয়োজন।
৮ নভেম্বর নগরীর মোমিন রোডস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের চট্টলবন্ধু এস.এম জামাল উদ্দিন মিলনায়তনে সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা দীপংকর চৌধুরী কাজলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা নইম উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।
কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক মো. অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বখশিরহাট আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজ উল্লাহ্ চৌধুরী বাহাদুর, সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি স্বপন সেন, মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ চৌধুরী ভাস্কর, আবু সাদাত মো. সায়েম, আবদুল মান্নান শিমুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. সাহাব উদ্দিন, অসিত বরণ বিশ্বাস, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সূচিত্রা গুহ টুম্পা, সহ-প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোজাহেরুল আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজীব চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য আখতার হোসেন, মুক্তা জামান, কানিজ ফাতেমা, বায়েজিদ থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ রোকনুজ্জামান, মো. আসিফ ইকবাল, মো. জামশেদুল ইসলাম চৌধুরী, মুহাম্মদ জাফর আল তানিয়ার প্রমুখ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে নইম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। নিরাপরাধ জাতীয় চার নেতা শহীদী মর্যাদায় আজ জাতির কাছে শ্রদ্ধার সাথে বরণীয়, আর চক্রান্তকারী বেঈমান খন্দকার মোস্তাকগংরা জাতির কাছে ততটাই ঘৃণীত।
প্রধান বক্তা শওকত বাঙালি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ন্যায় জাতীয় চারনেতাসহ তেসরা নভেম্বরের হত্যাযঞ্জের মূল হোতা এবং কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু তাই নয়, ইতিহাসের অমর নায়কদের বীরত্বগাঁথা প্রজন্মকে জানাতে হবে। বিশ্বাসহীনতা ও নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে তাঁদের আত্মত্যাগ প্রকৃত রাজনীতিবিদদের প্রেরণার উৎস।
সভাপতির বক্তব্যে দীপংকর চৌধুরী কাজল বলেন, বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে জাতির জনককে তার ঐতিহাসিক ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।