৭ নভেম্বর প্রয়াত সাংসদ বাদলের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মইন উদ্দীন খান বাদল স্বপ্ন দেখতেন বৈষম্যহীন সমাজের। মানুষের অধিকারের কথা তার কণ্ঠে উচ্চারিত হতো। অসাম্প্রদায়িক এ মানুষটি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়ে গেছেন ন্যায দাবি নিয়ে। তার শেষ দাবিটি ছিলো আপামর চট্টগ্রামবাসীর জন্য কালুরঘাটে নতুন রেল কাম সড়ক সেতুর। তার মৃত্যুর দুই বছর পেরিয়ে গেছে। বাস্তবায়িত হয়নি সেতুটি। আজো তার বলিষ্ট কণ্ঠস্বর শোনা যায় হৃদয়ে কানপাতলেই। তিনি সত্য বলতে ও গ্রহণ করতে দ্বিধা করতেন না। জাতীয় সংসদে মইন উদ্দিন খান বাদলের বক্তব্যে প্রাণ সঞ্চার হতো। জনপ্রিয় এ সাংসদ হয়ে উঠেন অনলবর্ষী বক্তা। আজও আলোচনায় আছে তার সংসদে জনবান্ধব বক্তব্য। মইন উদ্দীন খান বাদল ছিলেন জাসদের নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা; সমাজতন্ত্রের সংগ্রামী সঙ্গী। তুখোড় মেধাদ্বীপ্ত এ মানুষটি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। তিনি জন্মেছিলেন ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। বাবা আহমদ উল্লাহ আর মা যতুর্মা খাতুন। বাবা ছিলেন পুলিশ অফিসার আর মা গৃহিণী। ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করে তিনিই সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদে আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতু নির্মাণের গুরুত্ব ও দাবি তুলেন। এরপর থেকে এ সেতু নির্মাণের দাবিতে কখনো রাজপথে, কখনো সংসদে সবখানেই সোচ্চার ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদে তিনি বলেছিলেন, কালুরঘাটে নতুন রেল কাম সড়ক সেতুর বিষয়ে সরকার কোনো উদ্যোগ না নিলে তিনি ডিসেম্বরে পদত্যাগ করবেন। হ্যাঁ সত্যিই তিনি তার কথা রেখেছেন, ডিসেম্বরে আর তাঁকে সংসদে যেতে হয়নি, তাঁর আগেই ওই বছরের ৭ নভেম্বর চলে গেলেন না ফেরার দেশে, চির বিদায় নিলেন সংসদ থেকে, চির বিদায় নিলেন দুনিয়া থেকে। আগামীকাল ৭ নভেম্বর এ বর্ষীয়ান নেতার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়িতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে খতমে কোরআন, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও মেজবান। এতে সকলের সহৃদয় উপস্থিতি কামনা করেছেন সেলিনা খান বাদল।