সীমাহীন ভোগান্তি

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রাজধানীসহ সারা দেশের সাধারণ মানুষ। গতকালের মতো আজও সকালে বাসা থেকে বের হয়েই ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ। রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করলেও দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া গুণে কর্মস্থলে যান তারা। মাঝে-মধ্যে দুয়েকটি দোতলা বিআরটিসি চলাচল করলেও তাতে তিল ধারণের জাগয়া ছিল না। বাদুর ঝোলার মতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যান তারা। রাজধানীর প্রতিটি বাস স্টপেজ ও মোড়ে শ শ মানুষকে দীর্ঘক্ষণ যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকে দীর্ঘপথ পায়ে হেটে গন্তব্যে রওনা হন।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন অধিভুক্ত সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষার্থীরা। বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি শিক্ষাথী সোহেল বলেন, রাজধানীর ফার্মগেট থেকে ঢাকা কলেজ পর্যন্ত স্বাভাবিক সময়ে রিকশা ভাড়া ৪০ টাকা।

ধর্মঘটের কারণে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় ৪০ টাকার ভাড়া ১২০ টাকা দিয়ে আসতে হয়েছে।
গণপরিবহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন পোশাক শ্রমিকরাও। সকালে ঢাকা-আরিচা, চন্দ্রা-নবীনগর ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘ পথ হেঁটে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছেন। অনেকে ভ্যানে করে হাজির হন কর্মস্থলে।
ওদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চাপ বেড়ে ট্রেনে। সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কিন্তু টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। যা কার্যকর হয় ওইদিন রাত ১২টা থেকে। এরপরই কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়া শুক্রবার সকাল থেকে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহন মালিকরা।