পিসিপি-যুব ফোরামের বিক্ষোভ সমাবেশ

দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা, মঠ-মন্দির, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও লুটপাটের প্রতিবাদে এবং হামলাকারী ও মদদদাতাদের চিহ্নিত করে আটক, বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রামে আজ (২২ অক্টোবর) গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিকেল ৩ ঘটিকায় নগরীর নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহার মোড় সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব ঘুরে চেরাগী মোড় চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চবি শাখার সদস্য, সুদেব চাকমা’র সঞ্চালনায় ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সহ-সভাপতি শুভ চাক’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা শ্রমিক সংসদের নেতা উপামোহন ত্রিপুরা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের চট্টগ্রাম (পূর্ব-৩) অঞ্চলের সভাপতি এডভোকেট ভূলন ভোমিক, এবং চট্টগ্রাম নিপীড়ন বিরোধী আইনজীবী মঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট, বিষুময় দেব, পিসিপি’র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আহবায়ক, মিটন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের মহানগর সভাপতি, রেশমী মারমা ও ইউপিডিএফ-এর বান্দরবান জেলা সমন্বয়ক ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি এডভোকেট ভূলন ভৌমিক বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা অসম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তান রাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টি করি। কিন্তু আজও পর্যন্ত এই দেশকে অসম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারিনি। তিনি রামু থেকে শুরু করে সর্বশেষ কুমিল্লা রংপুরসহ সমগ্র বাংলাদেশে যতগুলো সংখ্যালঘুদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে সবগুলো রাষ্ট্রের মদদে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এই ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতার থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত এদেশের সংখ্যালগুরা নিরাপদ নয়। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে অপসারণ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান।
নিপীড়ন বিরোধী আইনজীবী মঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট বিষুময় দেব বলেন, পাহাড়ে যেমন বাঙালি পাহাড়ি হানা হানিতে শাসকগোষ্ঠি জাতিগতভাবে বিভক্ত করতে চাই ঠিক একইভাবে সমতলেও যখন মানুষে মানুষে ঐক্যবদ্ধ হয় তখনই মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিক প্রবাহিত করার জন্য শাসকগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক বিষয় গুলো সামনে আনা হয়। এই বাংলাদেশের পাহাড় কিংবা সমতলে যতগুলো সাম্প্রদায়িক হামলা করা হয়েছে তার একটিও বিচার হয়নি। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারনে এদেশে বার বার সাম্প্রদায়িক হামলা হয়।