রাউজান সংবাদ

শিক্ষার্থীদের পদচারনায় প্রাণ ফিরে পেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ করোনার কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্টান খুলে দেওয়ায় শিক্ষার্থীদেও পদচারনায় প্রাণ ফিরে পেল শিক্ষা প্রতিষ্টান । করোনার প্রাদুভার্ব শুরু হওয়ার পর গত ২০২০ সালে ১৭ মার্চ থেকে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্দ্ব করে দেয় । করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসায় দীর্গ ১৮ মাস পর গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্টান খুলে দেওয়ার পর রাউজানের কলেজ, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কিন্ডার গার্ঢেন স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীরা আসায় শিক্ষক প্রতিষ্টান ফিরে পেয়েছে প্রাণ । দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্টান খোলার পর গতকাল রাউজানের ৯টি কলেজ, ৫টি স্কুল এন্ড কলেজ, ৫৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ২২ টি মার্দ্রাসা, ১শত ৮৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮০টি কিন্ডার গার্ডেন কেজি স্কুল গুলোতে ঘরের মধ্যে অলস হয়ে বসে থাকা শিক্ষার্থীরা এসে শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষকের পাঠদান গ্রহন করার মাধ্যমে আনন্দে মেতে উঠে । সরকারের সিদ্বান্ত অনুয়ারী ৫ম শ্রেনী ও নবম , দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন স্কুলে এসে পাঠদান করতে হবে । এছাড়া ও প্রঅথমিক শিক্ষা সমাপনী পরিক্ষার্থী, এস এস, সি, দাখিল পরিক্ষার্থীদের প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্টানে এসে পাঠদান গ্রহন করতে হবে । অবশিষ্টরা সাপ্তাহে একদিন শিক্ষা প্রতিষ্টানে এসে পাঠদান গ্রহন করবেন । কলেজগুলোতে শিপট করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হবে । শিক্ষা প্রতিষ্টান খোলার পর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীূরা মুখে মাক্স, হাতে হ্যান্ড স্যনিটেজার ব্যবহার করে ক্লাশ রুমে সামাজিক দুরত্ব বঝায় রেখে ক্লাসে বসে পাঠদান করার সরকারী নির্দেশনা থাকলে ও গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে সরজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায় সামাজিক দুরত্বের বালাই নেই শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোতে । শ্রেনী কক্ষে বেঞ্চের মধ্যে গাদাগাদি করে এস এস সি পরিক্ষার্থীদের বসিয়ে শিক্ষক পাঠদান করছেন। গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ রাউজান আর আর এ সি সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ পুরিদর্শন করেন । এসময়ে এস এস সি পরিক্ষার্থীদের মধ্যে মাক্স বিতরন করেন । পরে রাউজান স্টেশন মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাউজান ছালামত উল্ল্রাহ উচ্চ বিদ্যালয়, রাউজান সরকালী কলেজ পরিদর্শন করেন । রাউজান ছালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের এএস এস, সি, পরিক্ষার্থীদের পাঠদানের কক্ষ পরিদর্শন কালে শ্রেনী কক্ষের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে বেঞ্চে গাদাগদি করে শিক্ষার্থীদেও বসিয়ে পাঠদান করার দৃশ্য দেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বণিককে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে শ্রেনী কক্ষে পাঠদান করায় তিরস্কার করেন। কাল থেকে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে সর্তক করে দেওয়া হয় । রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মুখে মাক্স দিয়ে হ্যান্ড স্যনিটেজার ব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হবে । কোন শিক্ষার্থী করোনার সংক্রমন হলে সরকার আবারো শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্দা¦ করে দেবে ।


রাউজানের গহিরা দলই নগরে সরকারী ঘর পেলেন চেয়ারম্যানের বোন ফাতেমা ফাতেমা সরকারের দেওয়া ঘরে বসবাস না করে ঘরটি ভাড়ায় দিয়েছেন
রাউজানের গহিরায় সরকারী নির্মান করা ঘর পেলেন ছেযারম্যানের বোন । চেয়ারম্যানের বোন সরকারের দেওয়া ঘরে থাকেনা সরকারের দেওয়া ঘরটি ভাড়ায় দিয়েছেন গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশি । রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২ দপে জমি আছে ঘর নেই এসব পরিবারকে ১৪টি সেমি পাকাঘর নির্মান করে দেয় টি, আর, কাবিখা প্রকল্পের আওতায় । সরকারের নির্মান করে দেওয়া ১৪টি সেমি পাকাঘরের মধ্যে রাউজান উপজেলার ৪নং গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশি তার বোন ফাতেমা খাতুলের নামে তার বাড়ীর সামনে একটি সেমি পাকা ঘর নির্মান করে নেয় । গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশির রয়েছে পৈতৃক বসতভিটায় পাকা ভবন, চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশি নিজে ও পৈতৃক বসতভিটায় তার ভাই ও পিতার নির্মান করা ভবনের সামনে নির্মান করেছেন পাকা ভবন । গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশির বোন ফাতেমা খাতুনের নামে নির্শান করে দেওয়া সেমি পাকা ঘরে ফাতেমা খাতুন বসবাস করেনা । ফাতেমা খাতুনের নামে সরকার নির্মান করে দেওয়া সেমি পাকাঘরটি চট্টগ্রাম নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজার এলঅকার মুরাদ নামের এক ব্যক্তিকে ভাড়ায় দিয়েছেন। মুরাদ তার পরিবার পরিজন নিয়ে ফাতেমা খাতুনের নামে নির্মান কওে দেওয়া সেমি পাকা ঘরে গত এক বৎসর ধরে বসবাস করে আসছেন । সরজেিমনে পরিদর্শন কালে সরকার কতৃক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশির বোনে ফাতেমা খাতুৃনের নামে দেওয়া সেমি পাকাঘরে ভাড়া ফাতেমা খাতুন নেই। ফাতেমা খাতুনের জন্য নির্মান করে সরকারী সেমি পাকা ঘরে বসবাস করছে মুরাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা । মুরাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ফাতেমা খাতুনের জন্য নির্মান করে দেওয়া সরকারী ঘরে এক বৎসর ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে । মুরাদ তার কাছ থেকে কোন ভাড়ার টাকা নেয়নি বলে দাবী করেন । এলাকায় ঘুরে এলাকার লেঅকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশির বোন ফাতেমা বেগমের নামে গহিরা ইউনিয়নের কাজী পাড়া এলাকায় সরকারী খাসঁ জমি বন্দ্বোবস্তি নেয় । বন্দ্বোবস্তি নেওয়া সরকারী খাসঁ জমি যাদের দখলে ছিল তাদের কাছ থেকে সাড়ে চাল লাখ টাকা নিয়ে চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশি পুর্বের দখলকারী ব্যক্তিদের কাছে ছেড়ে দেয় । এলাকায় ঘুরে আরো জানা গেছে গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশির বোন ফাতেমা বেগমকে রাউজানের কদলপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘর দেওয়া হয়েছে । গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশির মৌখিক অনুমতি নিয়ে গুিহরা দলই নগর এলাকার অনিল মালাকারের স্ত্রী নিলু মালাকার গহিরা দলই নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের পুর্ব দক্ষিন পাশে পরাণ কৃষ্ণ মহাজন সড়কের পশে সড়কের জমি দখর করে দোকান ঘর নির্মান করছে । সড়কের পাশে সড়কের জমি দখল করে দোকান নির্মান করা প্রসঙ্গে নিলু মালাকার ও তার স্বামী অনিল মালাকারের কাছে জানতে চাইলে, নিলু মালাকার ও অনিল মালকার বলেন, অনিল মালাকার অসুস্থ হয়ে পঙ্গুতআব বরন করায় দলই নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে সড়কের জমিতে একটি দোকান ঘর নির্মান করার জন্য চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশির কাছে অনুমুিত চাইলে তিনি মৌখিক ভাবে অনুমতি দেওয়ায় দোকান ঘর নির্মান করছি । সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নিষেধ করলে দোকান ঘর নির্মান করবেন না বলে জানান নিলু মালাকার । সরকারের নির্মান করে দেওয়া সেমি পাকাঘর নিজ বোনের নামে নেওয়ার বিষয় ও সরকারী দেওয়া ঘর ভাড়ায় দেওয়া প্রসঙ্গে গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশির কাছে জানতে চাইলে, চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশি বলেন, আমার বোন ফাতেমা খাতুনের স্বামী নেই। স্বামী মারা যাওয়ায় আমার বোন ফাতেমা খাতুন বিধবা অবস্থায় জীবন যাপন করছেন । বিধবা বোন ফাতেমা খাতুনকে সরকারী ভাবে দেওয়া সিমি পাকা ঘর দেওয়ার আবেদন করার পর সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আমার বিধবা বোনকে আমার পৈতৃক জমিতে পুকুরের পাড়ে একটি সেমি পাকা ঘর নির্মান করে দিয়েছে । বিধবা বোন ফাতেমা খাতুনকে নির্মান করে দেওয়া সেমি পাকা ঘরে ফাতেমা খাতুন বসবাস না করে ভাড়ায়ং দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশি আর কোন কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নিয়াজ মোরশেদকে ফোন কওে জানতে চাইলে, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নিয়াজ মোরশেদ বলেন, সরকারের নির্মান করা ঘর নির্মান করার পুর্বে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানযে তালিকা দিয়েছে তাদের তালিকা অনুসারে ফাতেমা খাতুনকে সেমি পাকা ঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে । ঘর নির্মান কাজ শেষ হওয়ার পর ফাতেমা খাতুন ঐ ঘরে বসবাস করেন । বর্তমানে ঐ ঘরে ফাতেমা খাতুন বসবাস না করে ঘরটি ভাড়ায় দিয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই ।