ইট ভেঙ্গে জিবিকা নির্বাহ করেন প্রতিবন্ধী ইয়াসিন

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর ছিটিয়া পাড়া এলাকায় জম্মগ্রহনকারী ইয়াসিন উল্ল্রাহ জম্মের এক বৎসর পর কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দুটি পা অচল হয়ে যায় । দুটি পা অচল হয়ে যাওয়ার পর তার পিতা শুরু মিয়া ইয়াসিনের জন্য চিকিৎসা করার করার পর ও তা দুটি পা সচল হয়নি । ইয়াসিন জম্মেও এক বৎসর পর থেকে দুটি পা অচল হয়ে যাওয়ায় পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করে আসছেন । প্রতিবন্দ্বী ইয়াসিনের পিতা শুরু মিয়া এক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে থাকাবস্থায় ইয়াসিনের জীবন চলার পথে কোন অর্থ সংকট হয়নি । ইয়াসির পিতা শুরু মিয়া গত তিন বৎসর পুর্বে মধ্যপ্রাচ্য থেকে চলে আসেন । ইয়াসিনের পিথা শুরু মিয়া মধ্যপ্রাচ্য থেকে চলে আসার পর অর্থ সংকট দেখা দেয় । ইয়াসিনের পিতা শুরু মিয়া ঋনগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ঋণের টাকা শোধ করতে ইয়াসিনের পিতা শুরু মিয়া তার পৈতৃক বসতভিটা বিক্রয় করে দেয় । প্রতি বন্দ্বী ইয়াসিন ও তার পরিবারের সদস্যরা হরায় মাথা গোজাঁর স্থান । পরে ইয়াসিনের পিতা শুরু মিয়া তার পুত্র প্রতিবন্দ্বী ইয়াসিন ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসাবাস করেন রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রাউজান রাবার বাগান এলাকায় । প্রতিবন্দ্বী ইয়াসিন উল্ল্রাহর বংস বতমানে ৪০ বৎসর। ইয়াসিন বিয়ে করেছে । ইয়াসিনের কোন সন্তান নেই । ইয়াসিন উল্ল্রাহ প্রতিবন্দ্বী হওয়ার পর কারো কাছে হাত না পেতে ইট ভেঙ্গে জীবন যাপন করেন । প্রতিবন্দ্বী ইয়াসিন উল্ল্রাহকে চলাচলের জন্য রাউজানের সাংসদ পত্র তরুন আওয়ামী লীগ নেতা ফারাজ করিম চৌধুরী একটি হুইল রিক্সা তৈয়ারী করে দিয়েছেন । প্রতিদিন হুইল রিক্সা চেয়ার নিজেই চালিয়ে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় ইট ভাঙ্গার কাজ করতে ছুটে যায় প্রতিবন্দ্বী ইয়াসিন উল্ল্রাহ । হুইল রিক্সা চেয়ার থেকে নেমে ইটের স্তুপে বসে হাতুড়ী দিয়ে ইট ভেঙ্গে কংকর তৈয়ারী করে দিয়ে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে পরিবারের ব্যয় ভার বহন করেন প্রতিবন্দ্বী ইয়াসিন উল্ল্রাহ। প্রতিবন্দ্বী ইয়াসিন উল্ল্রাহ বলেন জম্ম নেওয়র পর থেকে প্রতিবন্দ্বী হওয়ায় প্রথমে বাবার আয় রোজগারের টাকা দিয়ে স্বাছন্দে জীবন যাপন করেছি । বর্তমানে বাবার আয় রোজগার না থাকায় বাবা তার পৈতৃক বসতবাড়ী ঋনের টাকা পরিশোধ করতে বিক্রয় করে দিতে হয়েছে ।চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়ে ফারাজ করিম চৌধুরীর দেওয়া হুইল রিক্সা চেয়ারে বসিয়ে হাত দিয়ে হুইল রিক্সা চেয়ার চালিয়ে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ইট ভেঙ্গে ইটের কংকর তৈয়ারী করে দিয়ে যে টাকা আয় করছি তা দিয়ে পরিবারের ব্যয়ভার বহন করছি । রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় প্রতিবন্দ্বী ভাতা পেয়ে থাকি তা দিয়ে পরিবারের ভ্যায় ভার বহন করা দুস্কর । স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মাঝে মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও আথিক সহায়তা করেন । প্রতিবন্দ্বী ইয়াসিন উল্লাহ আরো বলেন, সরকার গৃহহীন পরিবারের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মান করছেন । পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করার জন্য স্থায়ী ভাবে আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়ার জন্য রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগের কাছে আবেদন করেছি । তারা প্রধান মন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর আমাকে দেবেন বলে আশা দিয়েছেন । একটি ঘর পেলে ঐ ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে ইট ভেঙ্গে যে আয় হবে তা দিয়ে পরিবারের ব্যায়ভার বহন করতো পারবো । প্রধান মন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর পাওয়ার জন্য প্রতিবন্দ্বী ইয়াসিন উল্ল্রাহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন ।