পায়েল হত্যা মামলা, বিচার শুরুর আদেশ

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আব্দুল হালিম এ আদেশ দেন বলে জানান ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আইয়ূব খান।

দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যা, ২০১ ধারায় হত্যার পর লাশ গুম এবং অপরাপ্রবণতার অভিযোগে ৩৪ ধারায় তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ৮ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে বলে জানান অ্যাডভোকেট মো. আইয়ূব খান।

পায়েল হত্যা মামলায় তিন আসামি হল- হানিফ পরিবহনের বাসের চালক জামাল হোসেন, চালকের সহকারী ফয়সাল হোসেন ও বাসের সুপারভাইজার জনি।

২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধুর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সাইদুর রহমান পায়েল।

একদিন পর ২২ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা পুলিশ।

এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আদালতে তাদের জবানবন্দির বরাতে পুলিশ জানায়, গজারিয়া এলাকায় গাড়ি যানজটে পড়ায় প্রস্রাব করার কথা বলে বাস থেকে নেমেছিলেন পায়েল। বাস চলতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে এসে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে জ্ঞান হারান।

নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার বদলে মুখ থেতলে দিয়ে দায় এড়াতে ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে বাস নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন আসামিরা।

এ ঘটনায় গজারিয়া থানার পুলিশ ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। ২৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ মামলাটি চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে প্রজ্ঞাপন জারি করে।