কুতুবদিয়ায় খাদ্য গুদামে ফাটল

কুতুবদিয়া,কক্সবাজার।
কুতুবদিয়া খাদ্য গুদামের ভবন নির্মাণে ছাদের ফাটল নিয়ে এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ৬ মাস পূর্বে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত অর্থায়নে নতুন খাদ্য গুদাম ভবন নির্মানের জন্য এক কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন বলে কুতুবদিয়া উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
রবিবার দুপুরে (৩১ মার্চ) খাদ্য গুদামের নির্মান কাজে ছাদের ফাটলের কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় নির্মিত গুদামের পশ্চিমের প্রবেশ দারের গেইটের মূল ছাদ ফাটল ধরে ৩/৪ ইঞ্চি নিচের দিকে হেলে পড়ে। এতে মূল ভবন নির্মান কাজে মারাতœক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে জনৈক এক প্রকৌশলী জানান। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি খাদ্য গুদাম নির্মান কাজের বরাদ্দকৃত প্রাক্কলনের কোন ধরনের সাইনবোর্ড চোখে পড়েনি।
বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এস.এম তাহসিনুল হকের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, কুতুবদিয়া খাদ্য গুদামের ভবন নির্মানকালে ছাদের ফাটল ধরার কথা শুনেছেন। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে ফাটল ছাদ ভেঙে নতুনভাবে নির্মানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে খাদ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মাহাবুবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি গুদাম নির্মান কাজে অনিয়মের বিষয়ে খবর নিচ্ছেন বলে জানান। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মস্থলে উপস্থিতির বিষয় ও খাদ্য গুদাম নির্মানে ছাদের ফাটল বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন বলে নিশ্চিত করেন।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিম্মমানের কাজ করায় নির্মানকালে ছাদ ফাটল ধরে হেলে পড়েছে। কর্মরত উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ পাল চৌধূরীরদয়িত্ব অবহেলার কারনে নির্মান কাজ নি¤œমানের হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ পাল চৌধূরীকে রবিবার (৩১মার্চ) অফিসে না পেয়ে তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য মুঠোফোনে কথা হলে তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যস্থ আছেন বলে এড়িয়ে যান। খাদ্য গুদামের ভবন নিমার্নে ছাদ ফাটলের বিষয়ে জানতে ছাইলে তাঁর দায়িত্ব নয় বলে জবাব দেন। কবে কর্মস্থলে আসবেন তা জানতে ছাইলে সোমবার আসবেন বলে জানান। পলাশ পাল চৌধূরী মুঠোফোনে আরো জানান, তিনি কুতুবদিয়া ও চকরিয়া খাদ্য গুদামের দায়িত্বে রয়েছেন।
জানা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়মিত কর্মস্থলে না থাকায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নি¤œমানের কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।