বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চিরকালের বাতিঘর

চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির চিরকালের বাতিঘর; যাঁর অফুরন্ত আলোয় বাঙালি জাতি আজ বিশ্ব দরবারে আলোকিত। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, রাজনীতির মহাকবি, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট হায়েনাদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্য শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, এ কালজয়ী মহাপুরুষকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে হায়েনার দল বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রাকে রুখে দেবার যে ঘৃণ্য অপচেষ্টায় মেতে উঠেছিল, তাতে তারা সফল হতে পারেনি। পক্ষান্তরে এ হায়েনার দল আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে। কোন অপশক্তি এ অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে পারবে না। দেশের এ অগ্রযাত্রায় শামিল হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে অধিকতর শক্তিশালী করতে মাননীয় উপাচার্য সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান।
বেলা ১১:৩০ টায় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। অতঃপর পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চবি শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও অন্যান্য সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং ঐদিন শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী অন্যান্য শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে যোহরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত এবং দুপুর ১২:৩০ টায় চবি কেন্দ্রীয় মন্দিরে ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্য শহীদ এবং দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও মঙ্গল কামনায় গীতাপাঠ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, অনুষ্ঠানে আগত বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ এবং মাস্ক পরিধান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
দুপুর ১২:১৫ টায় চবি এ এফ রহমান হলের উদ্যোগে হল প্রাঙ্গনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ম্যুরাল উন্মোচন করেন এবং বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে আরও বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে এবং হলের প্রভোস্ট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী। ম্যুরাল উন্মোচন শেষে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
চবি প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেজিস্ট্রৃার, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, পরিচালক ছাত্রÑছাত্রী নির্দেশনা ও পরামর্শ, শিক্ষকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।