সাগরে অপহৃত ৩২ জেলে তিনদিন পর মুক্তি পেয়েছে

লিটন কুতুবী:
গত তিন দিন ধরে সাগরে অপহৃত ৩২ জেলে রবিবার (৮আগস্ট) ভোরে ফিশিং ট্রলারসহ মুক্তি পেয়ে উপকূলে ফিরে এসেছে। জলদস্যুরা মুক্তিপনের দাবীতে জেলেদেরকে শারীরিক নির্যাতন করেছিল। বর্তমানে এসব জেলেরা উপকূলে ফিরে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বাঁশখালী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ইয়ার আলী নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, জেলে অপহরণ ও ট্রলার আটকের বিষয় আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট জানাজানি হলে জলদস্যুরা টের পেয়ে রবিবার ভোরে মহেশখালী উপকূলের সোনাদিয়া নামক স্হানে খালে জেলে ও ট্রলার রেখে জলদস্যুরা পালিয়ে যায়। অপহৃত ৩২ জেলে ৪টি ট্রলার নিয়ে সকালে বাঁশখালী উপকূলে ফিরে আসে। একই ভাবে কুতুবদিয়া উপকূলের অপহৃত জেলে ও ট্রলার উপকুলে ফিরে আসে বলে কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন নিশ্চিত করেন।
তবে ট্রলার মালিকরা দাবী করে, জলদস্যুদের বন্দিশালা থেকে জেলে এবং ট্রলার গুলো ছেড়ে আনতে লাখ টাকার বিনিময় করা হয়।
জলদস্যুরা অপহৃত জেলেদের তিনদিন ধরে কোন খাবার দেয়নি। তাদের টার্গেট মোতাবেক টাকা দিতে না পারলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মারধর করে। জলদস্যুরা কুতুবদিয়া, মহেশখালী, বাঁশখালীর বলে দাবী করেন এফবি মায়ের দোয়া – ২৪৬ ফিশিং ট্রলারের মাঝি জাহাঙ্গীর আলম।
কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, জলদস্যুদের তান্ডবে সাগরে জেলেরা মাছ ধরতে পারছে না। অনেক টাকার পুঁজি নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায় জেলেরা। জেলেরা দাদন মহাজনের থেকে টাকা নিয়ে মৎস্য ব্যবসা শুরু করে। যথা সময়ে মহাজনের পাওনা পরিশোধ করতে না পারলে জেলেরা এ পেশা ছেড়ে আত্নগোপনে চলে যেতে হবে। আইনশৃংখলা বাহিনী সাগরে জলদস্যুতা কঠোর হস্তে দমনের দাবী করেন।